বিজেপি সাংসদের বাড়ি ঘেরাও করবেন অভিষেক!

রবিবার জলপাইগুড়ি মালবাজারে চা শ্রমিকদের কেন্দ্রীয় সমাবেশে যোগ দেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধরণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। চা-শ্রমিকদের উপর কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা বলতে গিয়ে অভিষেক বলেন, ‘১ জানুয়ারি থেকে বিজেপির সাংসদদের বাড়ি ঘেরাও করবে তৃণমূল। চা শ্রমিকদের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পিএফ-গ্র্যাচুয়িটির সমস্যার সুরাহা না হয়, তাহলে ১৫ হাজার করে লোক গিয়ে ঘেরাও হবে।’ অভিষেক আরও বলেন, সেই ঘেরাও কর্মসূচিতে তিনিও যোগ দেবেন।

অভিষেক বলেন, ‘চা শ্রমিকদের পাশে আছে তৃণমূল। শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত চা-শ্রমিকদের দাবি দাওয়া নিয়ে আমরা সোচ্চার হব। শ্রমিকদের স্বার্থে যতদূর যেতে হয় যাব। সিপিএম আমলে ২০১১ সালে চা শ্রমিকদের হাজিরা ছিল ৬৭ টাকা। কিন্তু, সেটা এখন বেড়ে হয়েছে ২৩২ টাকা। গত জুন মাসে ৩০ টাকা বেড়েছে। ৩ মাসের মধ্যে প্রত্যেক শ্রমিকের হাতে আইডি কার্ড পাবেন। অনেকের অভিযোগ ছিল পিএপ, গ্যাচুইটি না পাওয়া নিয়ে। আপনাদের পিএপ, গ্যাচুইটির দাবি ন্যায্য। আমি শ্রমমন্ত্রীকে বলব ৬টা চা বলয়ের ৩ লক্ষ ৮৩ হাজার চা শ্রমিকের সবার যেন আগামীদিনে একটা করে আইডি কার্ড তৈরি হয়। তিন মাসের মধ্যে এটা শ্রম দফতরকে সুনিশ্চিত করতে হবে। ৩১ জানুয়ারি মধ্যে প্রতিটা শ্রমিকের হাতে আইডি কার্ড পৌঁছে যাবে। আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি।’

এদিন তিনি বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ কথাটা নিয়ে আমার আপত্তি রয়েছে। কোনও উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ, গৌড়বঙ্গ নয়।কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ, দার্জিলিং থেকে দেগঙ্গা একটাই বঙ্গ। সে বঙ্গের নাম পশ্চিমবঙ্গ। অন্য কোনও বঙ্গল নয়। আজকের এই সমাবেশ কোনও রাজনৈতিক সমাবেশ নেউ। পুরসভা নেই, বিধানসভা নেই, লোকসভা নেই। পঞ্চায়েত ভোটও দেরি। আমি বলেছিলাম প্রতি ২ মাসে আসব। শেষ ১২ জুলাই এসেছিলাম। এবার ২ মাস শেষ হওয়ার আগেই এসেছি। তাই এই সমাবেশ কথা রাখার সমাবেশ। আপনার জন্য কাজ করার জন্য শপথ নেওযার সমাবেশ এটা। ভোটের সময় যাঁরা আসে বহিরাগতরা, পরিযায়ী পাখির মতো, আর ভোটের পর তাঁদের কাউকে দেখতে না পাওয়া গেলে তাঁর উপর আপনারা আশা-ভরসা রাখবেন?’