কোচবিহারের সভা থেকে বিজেপি নেতাদের কড়া ভাষায় আক্রমণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

দিনহাটা এক নম্বর ব্লকের ভারবান্দা গ্ৰামে বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হয় ২৩ বছরের যুবক প্রেম কুমার বর্মনের। এই ঘটনাকে সামনে রেখে ওই মৃত যুবকের পরিবারকে মঞ্চে তুলে বিএসএফ,কেন্দ্রীয় সরকার, এবং বিজেপিকে আক্রমণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কাশ্মীরের জঙ্গিদের মতো ওই যুবককে গুলি করে খুন করা হয়েছে। তার কাছ থেকে না গরু উদ্ধার হয়েছে,না সোনা উদ্ধার হয়েছে, না গোলাবারুদ উদ্ধার হয়েছে। তাহলে কেন তাকে খুন করা হলো? ওই যুবকের শরীর থেকে প্যালেট গানের ১৮০টি বুলেটের টুকরা উদ্ধার হয়েছে।

যে বন্দুক দিয়ে কাশ্মীরে আতংবাদিদের গুলি করা হয় সেই বন্দুক দিয়ে তাকে গুলি করা হয়েছে। বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভুল স্বীকার করে নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিগত নির্বাচনে আমাদের কিছু ভুলের কারণেই আপনারা আমাদের দূরে সরিয়ে দিয়েছিলেন। সে সময় কিছু নেতা ভুল করেছিল,এদিনের জনসভা থেকে দলীয় নেতৃত্বদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কয়েকজনের জন্য যদি দলের ক্ষতি হয় তাহলে তাদের ছেড়ে কথা বলবো না। যত বড়ো নেতা হোক।গত নির্বাচনের পর বিজেপি নেতারা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে ছিল। এবার দেখতে হবে যাতে বাড়ি ছেড়ে যেতে না পারে। তাদের বাড়ির মধ্যে ঘেরাও করে রাখতে হবে।

কোচবিহার জেলায় ১২৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে তার মধ্যে একটিমাত্র গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে রয়েছে।সেই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এর স্বামীর নামে জব কার্ড রয়েছে, শ্বশুরের নামে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ঘর, কাকা শ্বশুরের নামে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ঘর। একটি মাত্র গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে রয়েছে। তাতেই এই পরিস্থিতি।এদিনের জনসভা থেকে বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন বিজেপি তার অবস্থান স্পষ্ট করুক তারা আলাদা রাজ্য চায় কি চায় না। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা বলছে বাংলা ভাগ হবে না আবার কিছু বিধায়ক কিছু সংসদ বাংলা বিভাজনের নামে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।