অ্যাবট কলকাতায় ফ্লু সম্পর্কে মানুষকে শিক্ষিত করার জন্য একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করেছে

ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণের হার ভারতে ক্রমবর্ধমান। ইন্টিগ্রেটেড ইনফর্মেশন প্লাটফর্মের তথ্যানুসারে, এবছর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত দেশে প্রায় ১ মিলিয়ন মানুষ ‘অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেস’ বা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গেও ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। শুধু কলকাতাতেই স্যাম্পল টেস্টের ৬ থেকে ৭% পজিটিভ বলে চিহ্নিত হয়েছে। সিজনাল ইনফ্লুয়েঞ্জা জনস্বাস্থ্যের পক্ষে উদ্বেগের কারণ বলে সঠিক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন। গ্লোবাল হেলথকেয়ার লিডার অ্যাবট ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধের ব্যাপারে জনসাধারনের মধ্যে সঠিক তথ্য প্রচারের জন্য কলকাতায় একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করেছিল, যাতে সকলে নিজেদের, পরিবারের ও সমাজের অন্যান্যদের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারেন। ক্যালকাটা মেডিকেল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর ও পালমোনোলজি বিভাগের প্রধান ডাঃ রাজা ধর জানান, এবছর কলকাতায় ফ্লু আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুতহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের প্রতি সপ্তাহে ২-৩ জন আক্রান্তের দেখা পাওয়া গেছে। বেশিরভাগ সংক্রমণের কারণ হচ্ছে এইচ৩এন২ সাবটাইপ।এজন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। ইনফ্লুয়েঞ্জা একটি ভ্যাক্সিন দ্বারা প্রতিরোধ্য রোগ, তাই বছরে একবার ফ্লু ভ্যাক্সিন নেওয়া উচিত। ‘হু’র সুপারিশ অনুযায়ী বর্তমানের ভাইরাস স্ট্রেনের বিরুদ্ধে এই ভ্যাক্সিন নিরাপদ ও কার্যকর।

উল্লেখ্য, সিজনাল ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লু হল একরকম ‘অ্যাকিউট রেস্পিরেটরি ইনফেকশন’ যা বিভিন্ন রকমের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস দ্বারা সংক্রামিত হয়, যেমন টাইপ-এ (এইচ১এন১, এইচ৩এন২, ইত্যাদি) ও টাইপ-বি। ভ্যাক্সিন দ্বারা প্রতিরোধ্য রোগ হওয়ার ফলে দীর্ঘদিনের জন্য রোগপ্রতিরোধের জন্য ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাক্সিনেশন অন্যতম প্রধান কার্যকর উপায়। অ্যাবট ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর (মেডিকেল অ্যাফেয়ার্স) ডাঃ জেজো করনকুমার বলেন, ফ্লুর ব্যাপারে সচেতনতা কম থাকায় ও ভ্যাক্সিনেশনের ব্যাপারে ভ্রান্তধারণার কারণে এদিকে নজর দেওয়া হয় খুবই কম। সেজন্য অ্যাবট দেশের মানুষকে সুস্থ থাকায় সাহায্য করার জন্য এগিয়ে এসেছে।

ইনফ্লুয়েঞ্জা সব বয়সের মানুষেরই ক্ষতি করতে পারে। বিশেষত, ৫ বছরের কমবয়সী শিশু, ৬৫ বছরের উর্দ্ধ বয়সী মানুষ, সন্তানসম্ভবা নারী, কোমর্বিডিটি-যুক্ত রোগী (ডায়াবিটিস, কিডনি, হার্ট, লিভার ডিজিজ, অ্যাজমা) ও দুর্বল-রোগপ্রতিরোধী মানুষ বেশিমাত্রায় ঝুঁকির মুখে রয়েছেন। সেইজন্য ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন। নিরাপদ ও কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত ফ্লু ভ্যাক্সিন গ্রহণের ফলে মানুষ আরও বেশিদিন সুস্থভাবে বাঁচতে পারবেন। এর ফলে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ও কর্মস্থলে অনুপস্থিতির হার কমে যাবে বলে আর্থিক চাপও হ্রাস পাবে।