জল বাড়তে শুরু করেছে তিস্তায়। ইতিমধ্যেই তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সঙ্কেত জারি করা হয়েছে। গজলডোবা ব্যারেজ থেকে ৭৯৫১ কিউমেক জল ছাড়া হয়েছে।গ্যাস সিলিন্ডার, বাড়ির আসবাবপত্র, প্রচুর পরিমান বড় বড় গাছের গুড়ি, সহ বহু জিনিসপত্র তিস্তায় ভেসে আসতে দেখা যায়। নামানো হয়েছে পুলিশের স্পেশাল ফোর্স সহ বিরাট পুলিশ বাহিনী। সিকিম পাহাড়ে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ড্যাম ভেঙে যাওয়ায় তিস্তা নদীতে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জলপাইগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় নদীর জল ব্যাপক হারে বাড়তে পারে আশঙ্কা করে ইতিমধ্যেই নদীর পাড়ে সতর্কতা জারি করেছে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। মাইকিং করে নদীর চর এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চলতি বছর জল ছাড়ার এই পরিমাণ সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছে সেচ দপ্তর। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমস্ত রকমের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তিস্তা নদীর পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পাহাড় থেকে নেমে আসা জল ব্যারেজ থেকে ধাপে ধাপে ছাড়া হবে। এতে তিস্তা নদীর পাড়ের পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শামা পারভিন জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ক্রান্তি, ময়নাগুড়ি এবং জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বিভিন্ন এলাকা থেকে বহু মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে৷ ঘটনাস্থলগুলোতে রয়েছে এসডিও, বিডিও এবং পুলিশের দলও। সমস্ত রকম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।