বিগত এক বছর বাদে দু দিনের সফরে রাজ্যে এসেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই সফরের মাঝেই চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজ্য জুড়ে। খুন হয় বিজেপি যুবনেতা অর্জুন চৌরাশিয়া। এই মুহূর্তে তার খুনের তদন্তে ছয় সদস্যের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম তৈরি করল লাল বাজার। কাশীপুরে বিজেপি যুবনেতা অর্জুন চৌরাশিয়া খুনের তদন্তে এই দল গঠন করা হয়েছে। এই দলে লালবাজারের গোয়েন্দা আধিকারিকদের সঙ্গে চিৎপুর থানার পুলিশ আাধিকারিকরা থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, বিজেপি চৌরাশিয়ার ভাই বলেছেন, তাঁর দাদার মৃতদেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসার পরেই পুলিশকে সাহায্যের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে অর্জুন চৌরাশিয়ার মৃত্যুর তদন্তে প্রথম দিকে পুলিশ সক্রিয় ছিল না। বর্তমানে পুলিশের তৎপরতায় অবাক বিজেপি যুবনেতার পরিবার। অর্জুন চৌরাশিয়ার মৃত্যু নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যেদি অর্জুন চৌরাশিয়ার মৃত্যু হয়, তাঁর বাড়ির সামনে ধূসর রঙের একটি গাড়িকে ভোররাত তিনটে অবধি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এমনকী সিসিটিভি ফুটেজেও সেই গাড়িটি দেখতে পাওয়া যায়।
এই বিষয়ে কথা বলতে পুলিশের একটি দল অর্জুনের ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর হাতে একটা নোটিশ দেন। অন্যদিকে, অর্জুন চৌরাশিয়ার ফোন বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে। কিন্তু পুলিশ সেই ফোনের পাসওয়ার্ড কোড ভাঙতে পারেনি। তাই ফোন থেকে পুলিশ বিশেষ কোনও তথ্য পায়নি। তবে পুলিশের তরফে অনুমান করা হচ্ছে, মোবাইলের পাসওয়ার্ড ভাঙা গেলে অর্জনের মৃত্যুর তদন্তে গতি আসবে। যদিও অর্জুনের পরিবারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁরা এই বিষয়ে পুলিশকে কোনও সাহায্য করতে পারবেন না। কারণ অর্জুনের ফোনের পাসওয়ার্ড তাঁদের কাছে নেই।
তবে অর্জুন চৌরাশিয়ার মৃত্যু নিয়ে নতুন করে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রবিবার অর্জুন চৌরাশিয়ার মা বলেন, মারা যাওয়ার আগের দিন বাড়ির সামনে কয়েকজনের সঙ্গে বচসা হচ্ছিল। সেই সময় তিনি স্পষ্ট শুনতে কেউ তাঁর ছেলে হুমকি দিচ্ছে। বলছে, মেরে এমন জায়গায় পুঁতে আসব, কেউ খুঁজে পাবে না। এরপরে অর্জুন আর বাড়িতে ফেরেনি। অনেক রাত অবধি বাড়িতে না ফিরলে পরিবারের সদস্যরা খোঁজ শুরু করে। পরে অর্জুনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।