বেলাকোবার রাজগঞ্জ গভমেন্ট পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র নিজের হাতে ড্রোন বানিয়ে অবাক করলেন সবাইকে

নিজের হাতে একটি ড্রোন বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিল বেলাকোবার এক পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র সুমিত সেন। সে শিকারপুর অঞ্চলের মন্থনী নিবাসী। এ সম্পর্কে  সুমিত জানান ,২০২৪ সালে বেলাকোবা হাই স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিকে কলা বিভাগে পাস করে বেলাকোবায় রাজগঞ্জ গভমেন্ট পলিটেকনিক কলেজে ইলেকট্রিক বিভাগে ভর্তির হয়েছে। এ বছর সে প্রথম  সেমিষ্টারের  পরীক্ষা দিয়েছে। ড্রোন তৈরির ব্যাপারে সুমিত বলে ২০২৩ সালে  সে প্রথম যে ড্রোনটি বানিয়ে ছিল সেটি ওড়াবার সময় কিছুদূর গিয়ে ক্রাশ হয়ে যায়। নিরুৎসাহিত না হয়ে বিপুল উৎসাহ নিয়ে আবার ড্রোন নির্মাণে হাত দেয়। দ্বিতীয় ড্রোনটি বানাতে খরচ পড়েছে ৩৫ হাজার টাকা। সময় নিয়েছে দেড় মাস।

তার ড্রোনের বিশেষত্বের মধ্যে রয়েছে যে স্পট  থেকে উড়বে আবার সেই স্পটে অটোমেটিক নামতে সক্ষম। বর্তমান ড্রেনটি আকাশপথে দশ মিনিটে দেড় কিলোমিটার উড়তে সক্ষম।এখন সে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে আকাশ পথে আরও বেশি সময় ওড়ানো সেই সাথে ১০ কিলোমিটার আকাশ পথ পাড়ি দেওয়ার। তার তৈরি ড্রোনের ওজন দেড় কেজি। ক্যামেরা ভিডিও গ্রাপির পাশাপাশি অতিরিক্ত দেড় কেজি ওজনের পার্সেল বহন করার ক্ষমতা রাখে।  এর ফলে কৃষিকাজে ও পার্সেল সামগ্রী ডেলিভারি করার ক্ষেত্রেব উপযোগী হবে বলে সে জানায়।

এ সম্পর্কে কলেজ প্রিন্সিপাল সুপ্রিয় ঘটক জানান, তাদের ছাত্র সুমিতের তৈরি ড্রোনটিতে নিজে থেকে মাথা খাটিয়ে অনেক কিছু এপ্লিকেশন যুক্ত করেছে তাতে করে ভ্যালু অ্যাড হয়েছে। খুব একটা ভালো ড্রোন তৈরি করেছে । আমাদের সামনে উড়িয়ে দেখিয়েছে।তাতে আমরা খুব খুশি এবং চমকৃত ।ভবিষ্যতে এ বিষয়ে কোন রকম সহযোগিতা প্রয়োজন হলে আমরা সর্বতো সহযোগিতা করব। পেশায় কাঠ ব্যবসায়ী সুমিতের বাবা নিমাই সেন বলেন ছোটবেলা থেকেই তার ইলেকট্রিকের বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করার প্রবণতা দেখেছেন ।বড় হলে সে কিছু করে দেখাতে পারবে যে ধারণাটা ছিল সেই ধারণাটাই পূরণ হয়েছে। সুমিতের মা রিনা সেন বলেন বাড়িতে সে বেলুন ফোলাবার একটি মেশিন বানিয়েছে, দুই সেকেন্ডে একটা বড় বেলুন ফোলানো যায়।তার এসব কাজে কোনদিনই আমরা বাধা দিইনি এবং উৎসাহিত করেছি। সুমিত ডিপ্লোমা কমপ্লিট করে লোকো পাইলট হওয়ার ইচ্ছা সেই সাথে জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার।