এগোবে গরমের ছুটি, মর্নিং স্কুল চালু করা নিয়ে রিপোর্ট পাঠানো হল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে

কাঠফাটা রোদে পুড়ছে রাজ্যবাসী। বিশেষ করে কলকাতা সহ দক্ষিনবঙ্গের বাশিন্দাদের নাজেহাল অবস্থার সন্মুখীন হতে হচ্ছে। তাপপ্রবাহের জেরে কোথাও ৪২ ডিগ্রি, তো কোথাও ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই নাজেহাল পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল জেলায় জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে নবান্ন। পাশাপাশি, পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে, বিকাশ ভবন সোমবার নির্দেশ দিয়েছে, গরমে সুস্থ থেকে পড়ুয়ারা যাতে স্কুলে যেতে পারে, সে জন্য প্রাথমিক, এসএসকে, এমএসকে থেকে উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক— সব স্তরেই ‘মর্নিং স্কুল’ অর্থাৎ, সকালে স্কুল চালু করতে হবে। মূলত, মর্নিং স্কুল মানে সকাল সাড়ে ৬টায় হাজিরা, ৭টার মধ্যে পঠনপাঠন শুরু। এবং বেলা ১১টার মধ্যে স্কুল ছুটি। আর এই সিদ্ধান্তে খুশি পড়ুয়া থেকে অভিভাবক এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তবে কবে থেকে এই নির্দেশ কার্যকর হবে, সে নিয়ে ধন্দে রয়েছেন অনেকেই। কারণ, মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত স্কুলগুলির কাছে ‘মর্নিং স্কুল’ চালু করার বিষয় সংক্রান্ত কোনও নির্দেশ এসে পৌঁছয়নি বলে জানান কর্তৃপক্ষ। যদিও সময় মতোই নির্দেশ পৌঁছবে বলে জানিয়েছেন জেলা স্কুলশিক্ষা দফতরের আধিকারিকেরা। তবে গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, প্রয়োজনে এগোবে গরমের ছুটি। সোম-মঙ্গলবারের আবহ দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মূলত, দীর্ঘদিন পর ফের পঠন-পাঠন শুরু হয়েছে স্কুলগুলোতে। ছন্দে ফিরছে স্কুলগুলিও, কাজেই এই দিকটি মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে বলে জানান ব্রাত্য বসু ।

উল্লেখ্য, তাপপ্রবাহের পরিস্থিতিতে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, তেষ্টা না পেলেও নির্দিষ্ট সময় অন্তর জল খেতে হবে। সর্বদা পানীয় জল সঙ্গে রাখতে হবে। ঢিলেঢালা পোশাক পরে বেরতে হবে। টুপি, কাপড়, তোয়ালে বা চাদর দিয়ে মাথা ঢেকে রাখতে হবে। এবং বাড়িতে তৈরি লেবুর সরবর, নুন-চিনির জল বেশি করে খেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রখর রোদে না বেরনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সরকারি নির্দেশিকায়।