চলতি সপ্তাহেই নবান্নের শীর্ষ স্তরের সঙ্গে আলোচনার পরে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ‘ভোরের আলো’ থানা আগামী কিছুদিনের মধ্যে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মেগা টুরিজ়ম হাব ‘ভোরের আলো’য় আগের মতো একটি পুলিশ ফাঁড়ি চালু করা হবে। তা গজলডোবা পুলিশ ফাঁড়ি হিসাবে পরিচিত হতে পারে। আর নতুন ‘ভোরের আলো’ থানা চালু হবে বর্তমান থানার জায়গা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরের আমবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে। তাতে আমবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িটি আপাতত বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর বুধবার বলেন, ‘‘ভোরের আলো থানাটি সরিয়ে আরও ভাল পরিকাঠামোর জন্য আমরা আমবাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নতুন এলাকায় থানা চালুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে গিয়েছে। দ্রুত দিনক্ষণ ঘোষণা করে দেওয়া হবে।’’গজলডোবায় পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং এলাকার নজরদারির কথা ভেবে থানার কথা বলা হয়। সেই সময় এনজেপি থানার আওতায় থাকা মিলনপল্লি পুলিশ ফাঁড়িকে ‘ভোরের আলো’ থানায় রূপান্তরিত করা হয়।
পরিকাঠামো কিছু বাড়ানো হলেও ওসি-র ঘর, ডিউটি অফিসারের বসার এলাকা পরে তৈরি হয়। লকআপ এবং অফিসারদের থাকার ‘ঠিকঠাক’ ব্যবস্থা অবশ্য এখনও নেই। থানার নীচে নবদিশা বলে একটি শিশুদের স্কুলও চলে। তা শিক্ষিত মহিলা সিভিকেরা সেখানে শিশুদের পড়ান।‘ভোরের আলো’ থানায় ১৪ জনের মতো অফিসার, ১০ জন কনস্টেবলের বাইরে সিভিক ভলান্টিয়ার আছেন। ফাঁড়িতে সংখ্যাটা কম। পুলিশ সূত্রের খবর, গত নভেম্বরে এই থানায় ১৫টি মতো মামলা হয়েছে। এর সবই প্রায় আমবাড়ি ফাঁড়ি এলাকারসেই জায়গা থেকে হাইওয়ের পাশে, জনবসতিপূর্ণ, তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত ঘেরা এবং অভিযোগের সংখ্যার নিরিখে এগিয়ে থাকা আমবাড়িতেই নতুন ‘ভোরের আলো’ থানা চালু হতে চলেছে।