মূলত কার্তিক মাসের শেষে এই পুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে। প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো জোড়া কার্তিক পুজো ব্যাপক সাড়া ফেলেছে জলপাইগুড়ি শহরের বিবেকানন্দ পাড়া এলাকায়। বংশপরম্পরার দাস পরিবারের সদস্যরা প্রথা অনুযায়ী জোড়া কার্তিক,জোড়া ঢাক, জোড়া ঘটে,পূজার সরঞ্জাম বেশ ঘটা করেই পুজোর আয়োজন করেছে প্রতিবছরের মতো এবছর। তবে করোনা কিছু টা প্রভাব পড়ছে ভক্তদের সমাগমের ক্ষেত্রে শহরের বিবেকানন্দ পাড়া এলাকায় জোড়া কার্তিক পুজোয়। নরেন্দ্রনাথ দাসের বাড়িতে বেশ বহু বছর থেকেই এই পুজো হয়ে আসছে। আর সেখানে দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা এসে এই পুজ বিভিন্ন মনসকামনার জন্য মানত করে।সেইমতো মনস্কামনা তাদের পূরণ বলে জানা গেছে। কার্তিক পুজো মূলত তিন দিন ধরে হয়।পুজোর শেষ দিন অর্থাৎ আজ কে বৃহস্পতিবার বোধন পুজোর মাধ্যমে ” নবান্ন ” উৎসবের মধ্যে দিয়ে। নবান্ন উৎসব হিন্দুদের একটি প্রাচীন প্রথা।এপার বাংলা ওপার বাংলার ঐতিহ্যবাহী শস্যোৎসব নবান্ন পালিত হয় অগ্রহায়ন মাসে। নবান্ন শব্দের অর্থ নতুন অন্ন।নবান্ন উৎসব হল নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে প্রস্তুত চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব।অগ্রহায়নের শুরুতে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয় ।
নবান্ন উৎসবের মধ্য দিয়ে নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে জোড়া কার্তিক পুজো অনুষ্ঠিত হল জলপাইগুড়িতে
