তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তার নিরাপত্তা সবার আগে। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে থাকেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এতো নিরাপত্তার মাঝেও আচমকাই এক অগ্যেত ব্যক্তির তার বাড়িতে আগমন ঘটায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাজ্যজুড়ে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে আগন্তুকের প্রবেশ ও রাতভোর লুকিয়ে থাকার ঘটনার জেরে তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। লালবাজার তাঁর নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছে, তাঁর নিরাপত্তা আরও কঠোর করা হয়েছে। এরই মধ্যে এই খবর সামনে এল। নিরাপত্তা আরও জোরদার করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, একজন ইন্সপেক্টর, একজন সার্জেন্ট, দুইজন কনস্টেবল সহ ১৫ জন পুলিশ কর্মীকে বদল করা হয়েছে। আরও কয়েকজনকে বদল করা হতে পারে বলে খবর। ঘটনার সময় এই সব পুলিশ কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।
নবান্নে স্বরাষ্ট্র সচিব বিপি গোপালিকার পৌরহিত্যে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা পর্যালোচনায় এক বৈঠক হয়। সেখানে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পাশাপাশি নবান্নের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নতুন করে পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওই বৈঠকে।
এদিকে, ঘটনার পর আরও বেশি তটস্থ কলকাতা এবং রাজ্য পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ও নবান্নের প্রতিটি প্রবেশপথ সরেজমিনে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গেট দিয়ে প্রবেশ করার সময় প্রবেশকারীর তথ্য ঠিকমতো সংগ্রহ করা হচ্ছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, এখন থেকে নবান্ন এবং মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেগুলি জমা রেখেই তাদের ডিউটি করতে হবে। যদিও এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে সিপিএম।
দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী আজ বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এটা ঠিক। কিন্তু নবান্নে কাজে যেতে গেলে মোবাইল ফোন জমা দিয়ে যেতে হবে, সরকারি কর্মচারীদের এত অবিশ্বাস করা হচ্ছে কেন সে প্রশ্ন তোলেন তিনি।