আদালতের রায়ের বিপরীতে বেশ কিছু বিচারপতি, একা দোষী নয় নূপুর

ভুল বক্তব্যকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়েছে গোটা দেশ। যার জেরে নষ্ট হয়েছে সরকারের কয়েক কোটি সম্পত্তি। বিভিন্ন জায়গায় এখনো চলছে অশান্তির রেশ। সারা দেশজুড়ে যে অশান্তি হচ্ছে তার জন্য এককভাবে দায়ী নূপুর শর্মা। শুধু তাই নয়, উদয়পুরে যে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তার জন্যও বহিষ্কৃত বিজেপি নেত্রীই দায়ী! এমনই পর্যবেক্ষণ দেশের সর্বোচ্চ আদালতের।

কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের এই মন্তব্যকে ভালভাবে নিচ্ছেন না অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও আমলাদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, নূপুর শর্মাক নিয়ে শীর্ষ আদালত যে পর্যবেক্ষণ করেছে তা দুর্ভাগ্যজনক। এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির মন্তব্যের সমালোচনায় খোলা চিঠি দিয়েছেন তারা।

সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, গোটা দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত বিজেপির প্রাক্তন নেত্রী নূপুর শর্মার। তিনি যে লঘু মন্তব্য করেছেন তা গোটা দেশে আগুন জ্বালিয়েছে। কিন্তু এই আমলারা বা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের একাংশ সেটা মনে করছেন না।

তাঁদের বক্তব্য, অতীতেও বহু দুর্ভাগ্যজনক মন্তব্য করা হয়েছে বিচারব্যবস্থায়, এটিও তার মধ্যে পড়ে। দুই বিচারপতি যে মন্তব্য করেছেন এই ইস্যুতে তার সংশোধন হওয়া উচিত বলেই মত তাঁদের। দেশের সুরক্ষা এবং গণতন্ত্রের স্বার্থে এই মন্তব্য সংশোধন করা উচিত বলে জানাচ্ছেন তারা। ১৫ জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, ৭৭ জন প্রাক্তন আমলা ও সশস্ত্র বাহিনীর ২৫ জন অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক সুপ্রিম কোর্টের উদ্দেশে এই খোলা চিঠি দিয়েছেন।

হজরত মহম্মদ নিয়ে বহিষ্কৃত বিজেপি নেত্রী যে মন্তব্য করেছিলেন তার প্রতিবাদে প্রায় গোটা দেশ অশান্ত হয়েছে। রাজ্যে রাজ্যে আগুন জ্বলেছে, রাস্তা অবরোধ হয়েছে, ট্রেন, গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। নূপুরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শহরের একাধিক থানায় মামলা রুজু হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সমস্ত এফআইআর দিল্লিতে স্থানান্তর করার আর্জি নিয়েই তিনি সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন। তখনই তাঁকে এই ভাবে ‘ধমক’ দেয় আদালত এবং তাঁর আর্জিও খারিজ করে দেয়।