গঠিত হলো বিজেপির এগারো সদস্যের নতুন বোর্ড

বড়ো বদল হলো গেরুয়া শিবিরে। গঠিত হলো নতুন সদস্যের কমিটি। ১১ সদস্যের কমিটি থেকে বাদ পড়লেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকরি এবং মধ্যপ্রদেশের চারবারের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান।

জায়গা পেলেন না উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। গেরুয়া শিবিরের এই সমস্ত শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বদের টপকে ১১ সদস্যের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংসদীয় বোর্ডে জায়গা করে নিলেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল এবং কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা।

উত্তরের পর গেরুয়া শিবিরের নজর এবার দক্ষিণে। আর তাই দক্ষিণের বিজেপি শিবিরকে বিশেষ গুরুত্ব দিতেই ইয়েদুরাপ্পার সংসদীয় বোর্ডে প্রবেশ, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। অন্যদিকে গডকরি এবং চৌহানের বাদ পড়াতেও হতবাক সকলে।

বিজেপি সভাপতি  জে পি নাড্ডা দুপুরে গেরুয়া শিবিরের এই ১১ সদস্য বোর্ডের সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন। তিনি জানান এই বোর্ডে থাকছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ছাড়াও সত্যনারায়ণ জুটিয়া এবং জাতীয় সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষ।

তবে আশ্চর্যজনকভাবে এই বোর্ডে এবারে নতুন সংযোজন ইয়েদুরাপ্পা এবং অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। এছাড়াও সুধা যাদব, কে লক্ষণ এবং ইকবাল সিং লালপুরাকেও এই বোর্ডে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে খবর।

প্রসঙ্গত দলের সংগঠন এবং নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাই এই সংসদীয় বোর্ডের কাজ। ফলে গেরুয়া শিবিরের একেবারে শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বদের নিয়েই গঠিত হয় এই সংসদীয় বোর্ড।

অন্যদিকে শিবরাজ সিং চৌহান এবং নীতিন গটকরির মত বিজেপির শীর্ষস্থানীয় দুই নেতৃত্বএই বোর্ড থেকে বাদ পড়ায় অবাক সকলে। প্রসঙ্গত কেন্দ্রীয় মহলে বিজেপি দলের অন্যতম দুই তুরুপের তাস এই দুই রাজনীতিবিদ।

একদিকে মধ্যপ্রদেশের চারবারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ২ দশকেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন শিবরাজ। অন্যদিকে কেন্দ্রের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী এবং আরএসএস ঘনিষ্ঠ প্রভাবশালী একজন নেতৃত্ব হলেন গডকরি।

একসময় বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতিও দেখেছেন তিনি। এই আবহে এই তুই হেভিওয়েট নেতার বোর্ড থেকে বাদ পড়ায় ইতিমধ্যে উঠতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন। কেন এই দুই নেতাকে বাদ দেওয়া হল তা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন রাজনৈতিক জল্পনা।

অন্যদিকে, এদিন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটিরও পুনর্গঠন করেছেন নড্ডা। জানা যাচ্ছে, ১৫ সদস্যের এই বোর্ডে এখন আছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, নড্ডা, শাহ, রাজনাথ সিং, সোনওয়াল, ইয়েদুরাপ্পা, কে লক্ষ্মণ, লালপুরা, যাদব, ওম মাথুর, বিএল সন্তোষ, সত্যনারায়ণ জাটিয়া, সুধা যাদব, দেবেন্দ্র ফড়নবিস এবং বনথী শ্রীনিবাস অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।