গৃহকর্তার ছেলের বিরুদ্ধে বছর দশের নাবালিকা গৃহ পরিচারিকাকে ধর্ষণ করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল। তিন দিন পর নাবালিকার মৃতদেহ গৃহকর্তার বাড়ির চিলেকোঠার ঘর থেকে উদ্ধার হল। এই ঘটনায় বর্ধমানের কেতুগ্রামের সুলতানপুরের এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। নাবালিকার মা-সহ এলাকার বাসিন্দারা অভিযুক্ত ছেলে ও তাকে সহযোগিতা করার অভিযোগে ছেলের মায়ের ফাঁসির দাবি জানাল। জানা যায়, বছর দশেকের এক নাবালিকা বাড়ির অর্থিক সঙ্কটের জন্য পাশের গ্রাম সুলতান পুরে রুবি খাতুন নামে এক মহিলার বাড়িতে গৃহ পরিচারিকার কাজ করত। গত সোমবার নাবালিকা ওই বাড়িতে কাজ করতে যাওয়ার পর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে বারংবার খোঁজ নিলেও খোঁজ মেলেনি নাবালিকার।
নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা মেয়েকে সোমবার থেকে খুঁজে না পেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেয়। থানায় যাওয়ার কথা জানতে পেরে বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ নাবালিকার মাকে জানানো হয় সুলতানপুরের রুবি খাতুনের বাড়ি থেকে মেয়েটিকে খুঁজে পাওয়া গেছে বলে। মেয়েকে পাওয়া গিয়েছে শুনে গ্রামের কয়েকজনকে নিয়ে সুলতানপুরে রুবির বাড়িতে যান নাবালিকার মা। সেখানে গিয়ে নাবালিকার মা ও এলাকাবাসীরা গৃহ কর্ত্রী রুবি খাতুনের কাছ থেকে মেয়ের গলায় দড়ি দিয়ে মৃত্যুর কথা জানতে পারেন। নাবালিকার মায়ের অভিযোগ এর আগেও গৃহ কর্ত্রীর ছেলে মেয়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছিল। তার মা মেয়ের কাছে এই কথা শোনার পর মেয়েকে পুনরায় ওই বাড়িতেই কাজে পাঠায়। নাবালিকার মা ও এলাকাবাসীর অভিযোগ তার মেয়েকে ধর্ষণ করে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করেছে মালিকের ছেলে। এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে কেতুগ্রাম থানার পুলিস।