বর্ষবরণের কার্নিভালে খাবারের স্টল বসানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের বিধায়ক অনুগামী এবং বিরোধী গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চাঁচল সদরের তরলতলা মোড়ে। পুলিশের সামনেই দাদাগিরি দু’পক্ষের। ঘটনায় আহত ৪। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের লাঠিচার্জ। লাঠি দেখে পালালেন বাহুবলি তৃণমূল নেতা। এলাকা জুড়ে ব্যাপক উত্তেজন এবং আতঙ্ক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সুষ্ঠভাবে কার্নিভালের অনুষ্ঠান হওয়া নিয়ে উঠল প্রশ্ন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একপক্ষে রয়েছে বিধায়ক ঘনিষ্ঠ ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি অমিতেশ পান্ডে, উপপ্রধান মোক্তার হোসেন সহ তাদের দলবল। অন্যপক্ষে রয়েছেন, পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ, সহ-সভাপতি জাকির হোসেন এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা। এদিন সকালে তরলতলা মোড়ে এলআইসি ভবনের সামনে খাবারের স্টল বসানো নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত। স্টলের বাঁশ খুলে দেন বিরোধী গোষ্ঠীর লোকেরা।
তাদের দাবি ওখানে পঞ্চায়েত সমিতি সৌন্দর্যায়ন করেছে। পেছনে রয়েছে অনেক দোকান। সেখানে সেলফি জোন ছাড়া খাবারের দোকান বসানো যাবে না। এ কথা শুনে কার্নিভাল কমিটির একাংশ সেখানে এসে গন্ডগোল শুরু করেন। তারপরেই বেধে যায় সংঘর্ষ। রীতিমতো পুলিশকে আঙ্গুল উঁচিয়ে হুমকি দেন উপপ্রধান মোক্তার হোসেন এবং তার দলবল। লাঠি বাঁশ নিয়ে একে অপরের দিকে তেড়ে যান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় পুলিশকেও। এদিকে দিনের বেলায় শহরের উপকণ্ঠে ব্যস্ততম রাজ্য সড়কে এমন ঘটনা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষেরা। অনেক পরে পুলিশের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হলেও, বর্তমানে গোটা এলাকা থমথমে।