করোনাভাইরাসের জ্বালায় আপাতত জর্জরিত সাধারণ মানুষ। বাড়তে থাকা করোনা পরিস্থিতি যেন নিয়ন্ত্রণে এসেও আসছিল না। চলতি বছরে একটা সময় ছিল যখন সত্যিই অনেকটা কমে এসেছিল সংক্রমণ। কিন্তু পরে তা আবারও বাড়তে থাকে।
মাঝে বেশ ঊর্ধ্বমুখী হয়ে গিয়েছিল আক্রান্তের সংখ্যা, কিন্তু আপাতত তা আবার নিম্নমুখী। বেশিরভাগ রাজ্যের সংক্রমণে কিছুটা লাগাম টানা গেলেও রাজধানী দিল্লি ফের নতুন করে ভয় বাড়াচ্ছে। কারণ দেশের অধিকাংশ আক্রান্তের সংখ্যা এখান থেকেই।
শেষ পাওয়া তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৮১৫ জন। একদিনে রাজধানীতে আক্রান্ত ২ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৬৮ জনের। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৯৯৬ জনের।
এদিকে এখনও পর্যন্ত দেশের মোট টিকাকরণ হয়েছে ২০৭ কোটি ৭১ লক্ষ ৬২ হাজার ০৯৮ ডোজ, গত ২৪ ঘণ্টায় হয়েছে ২৪ লক্ষ ৪৩ হাজার ০৬৪ ডোজ। পাশাপাশি দেশের সুস্থতার হার এখনও রয়েছে ৯৮ শতাংশের ওপরেই।
এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ১৯ হাজার ২৬৪ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৩৫ লক্ষ ৯৩ হাজার ১১২ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন দেশে। যার মধ্যে একদিনে সুস্থ হয়েছেন ২০ হাজার ০১৮ জন।
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে আসন্ন স্বাধীনতা দিবসে বড় জমায়েত এড়িয়ে চলতে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, হাত ধোয়া এবং মাস্ক পরার কথাও আরও একবার বলা হয়েছে। কোনও ভাবেই যাতে সংক্রমণ বাড়তে না পারে তার জন্য সচেতনতা অবলম্বনের কথা জানান হয়েছে। আসলে রোগ নিয়ে মানুষের আতঙ্কের কোনও শেষ নেই।
বিগত কয়েক বছরে যেন এই নিয়ে চিন্তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা ভাইরাসের জন্য। এখন আবার তার সঙ্গে চিন্তা রয়েছে মাঙ্কিপক্স, মারবার্গ, লং কোভিড, সহ আরও একাধিক ফ্লু নিয়ে। তাই সচেতন থাকতেই হচ্ছে।