শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আর্জি নিয়ে চিঠি গেলো শিক্ষামন্ত্রীর কাছে

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। অনতিবিলম্বে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন শুরু করার আবেদন জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিল মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি। এই সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র এক বার্তায় জানান, তারা প্রাথমিক স্তর থেকে শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পঠন-পাঠন শুরুর দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তিনি বলেন, আইসিএমআর, হু, ইউনেস্কো, ইউনিসেফ সহ পৃথিবীর স্বনামধন্য চিকিৎসাবিজ্ঞানী ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। রাজ্য সরকারের উচিত অবিলম্বে বৈজ্ঞানিক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মোতাবেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পঠন-পাঠন চালু করার উদ্যোগ নেওয়া।

তিনি আরো বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-কে কার্যকর করার জন্য ও শিক্ষা ব্যবসায়ীদের এবং কর্পোরেট ব্যবসায়ীদের হাতে শিক্ষাকে তুলে দেওয়ার জন্য নানান ধরনের বেসরকারি অ্যাপের সাহায্যে অনলাইন শিক্ষার পক্ষে সওয়াল করছেন শিক্ষা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। এর ফলে দেশের দরিদ্র অংশের ছাত্রছাত্রীরা ক্রমশ শিক্ষার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। তিনি আরো দাবি করেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা যথাসময়ে অফলাইনে আয়োজন অবশ্যই করতে হবে, শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত ভাবে তৈরী করে দেওয়ার জন্য তার ১ মাস আগে স্কুলে পঠন-পাঠন শুরু করা একান্তই প্রয়োজন। এর আগে এই একই দাবি তুলে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল এসইউসিআই, বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি সহ একাধিক সংগঠন। এইভাবে ক্রমাগত রাজ্য সরকারের ওপর চাপ বাড়িয়ে পুনরায় রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করার পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে তারা।

যদিও এখনও পর্যন্ত রাজ্যের যা কোভিড পরিস্থিতি তাতে আগামী কয়েক সপ্তাহে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যে খুলবে না তা স্পষ্ট। কারণ আক্রান্তের সংখ্যা দৈনিকভাবে আগের থেকে বেড়েছে এবং বাড়ছে মৃত্যুও। তাই এই সময় কোনও ঝুঁকি যে সরকার নেবে না তা হলফ করে বলা যায়। তবে এই আবহে গঙ্গাসাগর মেলা, পুরভোট করানো হচ্ছে কী ভাবে সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে, যা নিয়ে আরও অস্বস্তি বেড়েছে সরকারের।