রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার পর থেকেই মমতা, রাজ্যের শিল্প বিকাশের দিকে বেশি নজর দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৌরহিত্যে আজ নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়।
সেই বৈঠকে শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে রাজ্য সরকার আরও বেশ কয়েকটি শিল্প সংস্থাকে রাজ্যে বিনিয়োগের অনুমতি দেবে বলে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
বৈঠকের পরে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, শিল্প তালুক ও ইউনিটগুলিতে ৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। এর ফলে চার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে তিনি দাবি করেন।
এর পাশাপাশি দুয়ারে রেশন প্রকল্পে সহযোগিতা করার জন্য রাজ্য সরকার রেশন ডিলারদের কুইন্ট্যাল প্রতি ৭৫ টাকা ছাড়াও প্রতি মাসে আরও ৫ হাজার টাকা করে কমিশন দেওয়ার একটি সিদ্ধান্তও বৈঠকে নিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এছাড়াও খাদ্যশস্য সরবরাহ করার সময় যে পরিমাণ শস্যদানা নষ্ট হয় তার ০.২ শতাংশ অর্থ ক্ষতিপূরণ হিসাবে ডিলারদের দেওয়া হবে বলে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছেন। এর ফলে রাজ্যের ২১ হাজার রেশন ডিলার উপকৃত হবেন বলে দাবি করা হয়েছে।
যদিও রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ যে ঘোষণা করেছেন তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে রেশন ডিলারদের সমন্বয় সংগঠন ‘জয়েন্ট ফোরাম ফর ওয়েস্ট বেঙ্গল রেশন ডিলারস’। ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু প্রশ্ন তোলেন, গত ১৬ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী দুয়ারে রেশন প্রকল্প সূচনার সময় রেশন দোকান প্রতি ১০ হাজার টাকা ঘোষণা করেন।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার ৯ মাসের মধ্যে সেই বরাদ্দ কি করে ৫ হাজার টাকায় এল? তিনি আরও বলেন রেশন ব্যবস্থা চালু থেকে রেশন ডিলাররা কুইন্টাল প্রতি ৬২৫ গ্রাম হ্যান্ডলিং লস পেয়ে আসলেও গত ২০১৬ থেকে তা বন্ধ রয়েছে।
এই হ্যান্ডলিং লস কুইন্টাল প্রতি ১ কিলোগ্রাম করার দাবি করলেও খাদ্য মন্ত্রী হ্যান্ডলিং লস কুইন্টাল প্রতি ২০০ গ্রাম করার ঘোষণা করায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন বলেও তিনি জানান।