রাজ্যসভায় শপথ গ্রহণে পুরো দস্তুর বাঙালি আনাকেই প্রাধান্য দিলেন

বজায় থাকল বাঙালিয়ানা বাঙালির ঐতিহ্য। তুলে ধরলেন বাঙালি সত্ত্বাকে। পুরোদস্তুর বাঙালি সাজে রাজ্যসভায় এলেন তিনি। বাঙালি ঐতিহ্যকে বহন করেই আজ বুধবার তৃণমূলের সাংসদ হিসেবে রাজ্যসভায় শপথ গ্রহণ করলেন প্রাক্তন আইএএস জহর সরকার। ধুতি-পাঞ্জাবি পরে পুরোদস্তুর বাঙালি বেশেই শপথ নিলেন তিনি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভায় নির্বাচিত হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন জহর সরকার। তিনি শপথবাক্য পাঠ করেন বাংলাতেই। প্রসার ভারতীর প্রাক্তন প্রধান জহর সোমবার রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে মনোনীত হন। নরেন্দ্র মোদীর সরকারের বিরুদ্ধে চলতি অধিবেশন থেকেই দুঁদে এই বাঙালি আমলাকে ব্যবহার করতে পারে সংসদীয় দল। গত সোমবার জয়ের শংসাপত্র হাতে পেয়েই সন্ধ্যায় দিল্লি গিয়েছেন জহর। সেখানেই স্থির হয়, বুধবার অধিবেশন চলাকালীন ধুতি-পাঞ্জাবি পরে শপথ নেবেন প্রাক্তন এই আমলা।

কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের মেধাবী ছাত্র ছিলেন জহর। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের স্নাতক হওয়ার পর আমলার চাকরি। সেই সূত্রে দিল্লিতে কাটিয়েছেন দীর্ঘ দিন। তা সত্ত্বেও বাংলার সংস্কৃতির প্রতি তাঁর টানও এতটুকু কমেনি বলে মনে করেন জহর-ঘনিষ্ঠরা। শপথগ্রহণের দিনেও সেই বাঙালিয়ানা বজায় রাখলেন তিনি। তাই ধুতি-পাঞ্জাবিই তাঁর সংসদে আসার প্রথম দিনের পোশাক।

এদিকে তাঁর শপথ গ্রহণের দিনই তুমুল হট্টগোল বাঁধে রাজ্য সভায়। তিনি শপথ গ্রহণ করতেই তৃণমূল কংগ্রেসের বেঞ্চ থেকে সাংসদরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান তোলেন। এরপর পেগাসাস ইস্যুতে তৃণমূল সহ বিরোধী বিধায়করা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাল সভা মুলতুবি ঘোষণা করে দেন চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। সাসপেন্ড করা ছয় তৃণমূল সাংসদকে।