পূর্ব অনুমানকে করে সত্যি করে পুজো অনুদান বাড়ালো মুখ্যমন্ত্রী। গত বছর অনুদানের পরিমাণ ছিল ৫০ হাজার টাকা। এবারের পুজোতে তা আরও ১০ হাজার বাড়িয়ে দেওয়া হল।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করার পরই, এই নিয়ে আগেই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। অভিযোগ ছিল, এই সিদ্ধান্তে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার বেশি খরচ হবে রাজকোষ থেকে। এবার প্রায় একই মর্মে আরও একটি মামলা দায়ের হল। সরকারি টাকায় কেন অনুদান, সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
রাজ্যের ৪৩ হাজার দুর্গাপুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গাপুজোয় সরকারি টাকা কেন, এই প্রশ্ন তুলেই আরও একটি মামলা দায়ের হল। অর্থাৎ একই ইস্যুতে জোড়া মামলা কলকাতা হাইকোর্টে।
চলতি সপ্তাহেই এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা আছে বলেই জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, অনুদানের পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিলেও মিলবে ছাড়, এমনও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিদ্যুৎ বিলে যেন ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয় সেই অনুরোধ কলকাতা এবং স্টেট ইলেক্ট্রিসিটি বোর্ডকে করা হয়েছে, জানান তিনি।
যদিও মুখ্যমন্ত্রীর কথা ছিল, রাজ্যের ভাঁড়ার শূন্য। তাও তিনি কষ্ট করে হলেও অনুদান বাড়াচ্ছেন। এখানেই বিরোধীরা আক্রমণ করেছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে তবে কি ভোটের টানেই মুখ্যমন্ত্রী পুজো কমিটিগুলির প্রতি আরও দরাজ হলেন?
বিজেপি সাংসদ ইতিমধ্যেই তোপ দেগে বলেছেন, বাঙালিকে ভুলিয়ে রাখার জন্য টাকার অনুদান দেওয়া হচ্ছে। সবাই পুজোর পর দুর্নীতি ভুলে যাবে। অন্যান্য বিরোধীদের বক্তব্য, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই ভোটের টানতে এই সিদ্ধান্ত।