স্থানীয় চাষিদের উৎপাদিত অর্কিড  সাজিয়ে ‘ক্যাম্পাস কার্নিভাল’ হতে চলেছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে

ম্যান্ডারিন প্রজাতির কমলালেবু থেকে অ্যাভোকাডো, কিউই, কফি, পাহাড়ের ফুলঝাড়ু, ডল্লে খুশানি লঙ্কা বা লাখাডং হলুদ, পাহাড়ি মধু। কোথাও সাজানো থাকবে বিরল প্রজাতির কিছু অর্কিড। কালিম্পঙের জনপ্রিয় দুধের ক্ষীর থেকে তৈরি ললিপপ। স্থানীয় চাষিদের উৎপাদিত ওই সব পসরা সাজিয়ে ‘ক্যাম্পাস কার্নিভাল’ হতে চলেছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ বারই প্রথম। আগামী ১৮ ডিসেম্বর বড় দিনের আগেই উৎসবের মেজাজে ওই উৎসব হচ্ছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সেন্টার অফ ফ্লোরিকালচার অ্যান্ড এগ্রিবিজ়নেস ম্যানেজমেন্ট’, সংক্ষেপে কোফাম-এর উদ্যোগে ওই কার্নিভালের আয়োজন। ওই বিভাগের প্রধান তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী রেজিস্ট্রার নূপুর দাস বলেন, ‘‘ক্যাম্পাসে এক দিনের ওই কার্নিভাল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পড়ুয়ারাও যোগ দেবে। তাদেরও স্টল থাকবে। নাচ, গানে অংশ নিতে পারবে অনেকে।’’ শিক্ষকদের অনেকে আশাবাদী, এই উৎসব থেকে পড়ুয়ারা ‘অক্সিজেন’ পাবেন।

‘কোফাম‌’-এর তরফে জানানো হয়েছে, উত্তরবঙ্গে, পাহাড়ে নতুন নতুন নানা কিছুর চাষ হচ্ছে। সে বিষয়গুলি কার্নিভালে তুলে ধরা হবে। ড্রাগন ফ্রুট, অ্যাভোকাডো, ম্যান্ডারিন প্রজাতির কমলা থেকে কিউই, ডল্লে খুশানি লঙ্কা বা লাখাডং হলুদ, পাহাড়ি মধু, কফি, পাহাড়ের ফুলঝাড়ু থাকছে। দার্জিলিং কালিম্পঙে কিছু অর্কিড জন্মায়। সেই সব থাকছে। ‘কোফাম’-এর ইনচার্জ অমরেন্দ্র পাণ্ডে বলেন, ‘‘চাষিদের উৎপাদিন সামগ্রীর পাশাপাশি বিভিন্ন নতুন ফুল, ফল চাষে চাষিদের উৎসাহিত করা হবে। তার মধ্যে এমডি-২ প্রজাতির আনারস রয়েছে। রেড ডায়মন্ড, পিঞ্চ তাইওয়ান, হোয়াইট ডায়মন্ডের মতো পেয়ারা থাকছে। পিঙ্ক জ্যাকফ্রুট বা গোলাপি কাঁঠাল চাষে কেউ উৎসাহিত হলে এখান থেকে সাহায্য পাবেন।’’

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২ নম্বর গেট থেকে স্টল বসবে লাইব্রেরি বিভাগ পর্যন্ত। সব মিলিয়ে অন্তত ২৫টি স্টল থাকছে। রবীন্দ্রভানু মঞ্চের কাছে নাচ-গানের ব্যবস্থা হয়েছে। দিনভর অনু্ষ্ঠান চলবে। নতুন ফল চাষে উৎসাহীরা যেমন পরামর্শ পাবেন। নানা খাবার নিয়ে তথ্য মিলবে। নেপাল এবংভুটানের চাষিদেরও শামিল করানোর চেষ্টা চলছে।