আবার শিরোনামে সন্দেশখালি। এবার সেখানে মিলল গোছা গোছা ভারতীয় ভোটার কার্ড খোদ বিডিও অফিসের ঠিক সামনে থেকে । পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে তোলপাড়ের মধ্যেই শুক্রবার এই ঘটনা ঘটায় স্বাভাবিকভাবেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সন্দেশখালি 1 নম্বর ব্লক বিডিও অফিস চত্বরে । কোথা থেকে, কীভাবে এত সচিত্র পরিচয়পত্র সেখানে এল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে । স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ অবশ্য ঘটনার জন্য ব্লক প্রশাসনের দিকেই আঙুল তুলেছে । যদিও, ঘটনাটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বিডিও সায়ন্তন সেন ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে সন্দেশখালি 1 নম্বর ব্লক প্রশাসনের সদর কার্যালয়ের ঠিক পাশে নয়ানজুলিতে নির্বাচন কমিশনের গোছা গোছা সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র পড়ে থাকতে দেখা যায় । স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে তা লক্ষ্য করেন । ওই পরিচয়পত্রগুলো আংশিক পোড়া অবস্থায় ছিল । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ । যান স্থানীয় বিডিও সায়ন্তন সেনও । এরপর, ভোটার কার্ডগুলি সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু কোথা থেকে ওই সচিত্র পরিচয়পত্রগুলো নয়নজুলিতে এল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা । এনিয়ে প্রশাসনও অন্ধকারে । তবে, এই ঘটনায় যথেষ্ট ক্ষুদ্ধ স্থানীয়রা ।
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “দেখলাম প্রচুর ভারতীয় সচিত্র পরিচয়পত্র পড়ে রয়েছে বিডিও অফিস চত্বরে । কোথা থেকে কীভাবে এসেছে সেটা বলতে পারব না । গত তিন-চারদিন ধরে এই বিডিও অফিসেই ভোটার কার্ড তৈরির কাজ চলেছে । সেখান থেকে সম্ভবত এই সমস্ত ভোটার কার্ড বাইরে এসে থাকতে পারে ! এত পরিচয়পত্র পড়ে থাকা নিঃসন্দেহে চিন্তার ! প্রশাসনের বিষয়টি দেখা উচিত । আর কী বলব !”এই বিষয়ে সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, “ঘটনাটি আমার জানা নেই । যদি এরকম হয়ে থাকে সেটা প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। সন্দেশখালি নিয়ে সবসময় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির একটা চক্রান্ত কাজ করে থাকে । এক্ষেত্রে সেরকম কিছু হয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখুক নির্বাচন কমিশন । এদিকে, বিষয়টি নিয়ে সন্দেশখালি 1 নম্বর ব্লকের বিডিও সায়ন্তন সেন বলেন, “ঘটনাটি জানতে পেরেছি । তবে ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন অফিস থেকে ওই পরিচয়পত্রগুলো বাইরে আসেনি । প্রাথমিকভাবে আমার ধারণা, অন্য কোথাও থেকে ভোটার কার্ডগুলো পোড়ানোর জন্য মজুত করা হয়েছিল সেখানে । বাকিটা তদন্ত করে দেখতে হবে ।”