একটা স্যালাইন, তাতেই মেদিনীপুর থেকে কলকাতা? স্যালাইনকাণ্ডে ১ প্রসূতির মৃত্যু এবং ৩ প্রসূতির অসুস্থতা। গ্রিন করিডোর করে রবিবার রাতেই তাদের আনা হয় কলকাতায়। CCU, ITU বেডে অসুস্থ ৩ প্রসূতি। ইতিমধ্যে গঠন করা হয়েছে মেডিক্যাল টিম। হাসপাতালে থাকাকালীন প্রত্যেক প্রসূতির রিপোর্ট নিয়মিত দিতে হবে এই মেডিক্যাল টিমকে। কলকাতায় আনার পথে অসুস্থ ৩ প্রসূতির মধ্যে ১ আশঙ্কাজনক প্রসূতির চিকিৎসা চলেছে বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সেই। এসএসকেএমে ভর্তির পর রাতেই ডিসি সাউথ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন
রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইন ব্যবহার হয়েছে কলকাতা-সহ একাধিক হাসপাতালে। সেক্ষেত্রে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, তদন্ত কমিটির যে বিষয় নিয়ে চিন্তুত, স্যালাইন যদি নিম্নমানের হয় তবে বাকি রোগীর প্রতিক্রিয়া হল না কেন? আদৌ কি RL -এর জন্যই অসুস্থতা এবং ১ জনের মৃত্যু, নাকি অন্য কোনও কারণ? রিংগার ল্যাকটেট, অক্সিটোসিন, গ্যাসের ওষুধ, সেপট্রায়োজোনসহ ৫ ধরনের কমন ওষুধ ও ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল প্রসূতিদের।
সেগুলির নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে ড্রাগ টেস্টে। কিন্তু প্রশ্ন হল, যে পরিমাণ রিংগার ল্যাকটেট গাইনিতে ব্যবহার হয়, তার ১০ গুণ ব্যবহার হয় মেডিসিন ও অন্য বিভাগে। সেপট্রায়োজোনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক, একই গ্যাসের ওষুধও মেডিসিন-সহ বহু বিভাগে অনেক বেশি ব্যবহৃত হয়। অক্সিটোসিন ইঞ্জেকশনের সঙ্গে RL-এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নয় তো? তা ড্রাগ টেস্টিংয়ের পরই বোঝা সম্ভব বলে দাবি তদন্ত কমিটির সদস্যের।