হেনস্থা হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা

সৃষ্টি হলো অসন্তোষের। আবার একবার হেনস্থা হতে হলো রাজ্যের বিরোধী দল নেতাকে। তিনি গিয়েছিলেন পুলওয়ামায় শহীদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে আশুতোষ কলেজের পাশেই এক কর্মসূচিতে। কিন্তু সেখানে তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকরা ‘হেনস্থা’ করে বলে বড়সড় অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। আসলে শুভেন্দু যখন সেখানে পৌছন তখন তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকরা। পরিস্থিতি সঙ্গে সঙ্গে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে নিরাপত্তারক্ষীরা বিজেপি নেতাকে গাড়িতে তোলেন।

শুভেন্দু এই ঘটনা সম্পর্কে জানিয়েছেন, শহীদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচিতে আচমকা এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তৃণমূল সমর্থিত বেশ কয়েক জন। অকথ্য ভাষায় তাঁকে আক্রমণ করা হয়ে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। পাশাপাশি তাঁকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয়েছে বলেও দাবি রাজ্যের বিধানসভার বিরোধী দলনেতার। জানা গিয়েছে, শুভেন্দু অধিকারী যখন সেখানে পৌঁছন তখন তাঁকে ঘিরে চলতে থাকে গো-ব্যাক স্লোগান। তাঁকে ঘিরে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে পড়ুয়াদের একাংশ। এমনকি বিজেপি বিধায়ক যখন গাড়িতে উঠতে যান তখনও তাঁকে কটুক্তি করা হয়ে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি এমন হয় যে গাড়িতে উঠতে গিয়েও পিছন ফিরে তেড়ে যেতে উদ্যত হন শুভেন্দু। ঘটনার বিষয় নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন বিরোধী বিধায়ক।

উল্লেখ্য, আজই পুরভোটের ফলে চার জায়গাতেই পর্যুদস্ত হয়েছে বিজেপি। বিধাননগর, শিলিগুড়ি, আসানসোল এবং চন্দননগর, এই চার পুরসভা তৃণমূলের হাতে চলে গিয়েছে। এই জয়ের পর মমতার বক্তব্য, চার কেন্দ্রেই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে এবং মানুষের ভোটে তারা জয় পেয়েছেন, তাই তিনি খুশি। শান্তিপূর্ণ ভাবে মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। তাতে এই ফল হয়েছে, এমনটাই জানান তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। সেই প্রেক্ষিতেই দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে তাঁর কড়া বার্তা, মানুষের জন্য আরও নম্রভাবে কাজ করতে হবে কারণ এই জয় মানুষের জয়। একই সঙ্গে বিজেপিকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গে বিধানসভা ভোটে জয় পেয়েও দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের জন্য বিজেপি কিছুই কাজ করেনি। শুধু মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মানুষ পুরভোটে তারই জবাব দিয়েছেন।