স্বাধীনতা দিবস: এক উদ্যোগীর সাফল্যের কাহিনী

উদ্যোগীদের কাছে স্বাধীনতা দিবস শুধু এক ছুটির দিন নয়। তাদের কাছে আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন অনেক বড় ব্যাপার। বর্তমানে একটি হোটেলের মালিক আরমান কবীর কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে জীবন শুরু করেছিলেন। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে তিনি আর্থিক স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছেন। মগধ ইউনিভার্সিটির গ্র্যাজুয়েট আরমান প্রথমে একটি মার্কেটিং টিমে কাজ করতেন। তাছাড়া আজমিরের একটি হোটেলে বাংলা অনুবাদকের কাজও করেছেন। হসপিটালিটি সেক্টরে সরাসরি কাজের অভিজ্ঞতা তাকে নিজস্ব হোটেল খোলার সাহস জোগায়। তবে হোটেল চালানোর মতো আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় তিনি ওয়ো হোটেলস অ্যান্ড হোমস-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ২০১৮ সালে তাদের সহায়তা নিয়ে তিনি তার প্রথম হোটেল খুলে ফেলেন। 

ওয়ো ১০৪৭১ হোটেল সম্রাট প্যালেস-এর মালিক আরমান নিজের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে জানান, গুরুগ্রামে থাকার সময়ে তিনি বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষের সংস্পর্শে আসার সুযোগ পেয়েছিলেন এবং ব্যবসা শুরু করার ব্যাপারে অনেককিছু জানতে পেরেছিলেন। এরপর ওয়ো টিমের সংস্পর্শে এসে তিনি হোটেল চালানোর খুঁটিনাটি নানা বিষয় জেনে ফেলতে পারায় বিশ্বাস করতে শুরু করেন তার স্বপ্ন এবার পূরণ হতে চলেছে। বেশ কয়েকমাস কঠোর পরিশ্রমের পর তিনি ২০১৮ সালে নিজের হোটেল খুলতে সক্ষম হন। অতিমারীর সময়ে তারা হোটেলে ‘স্যানিটাইজেশন প্রোটোকল’ চালু করেন যাতে তাদের গেস্টরা ওয়ো’তে নিরাপদে থাকতে পারেন। আরমানের হোটেলটিও ‘স্যানিটাইজড স্টেজ’ চিহ্নিত হয়েছে, ফলে গেস্টরা নিশ্চিন্তে থাকতে পারছেন।

আরমান অনেক বাধা অতিক্রম করে সাফল্য পেয়েছেন। বর্তমানে কলকাতায় তার একটি হোটেল রয়েছে। হোটেল সম্রাটের সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে আরমান তার পরবর্তী হোটেলটি খোলার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আরমানের এই উত্তরণের কাহিনী হল প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জনের কাহিনী।