স্কুল বন্ধের নোটিশ তুলে নেওয়ার দাবি

করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে স্কুল খোলা নিয়ে চলছে দ্বন্দ্ব। বেসরকারি স্কুলগুলিতে যেভাবে পঠন-পাঠনে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরা তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। অবিলম্বে স্কুলগুলিতে শিশুদের পঠন-পাঠন চালু করতে হবে, কোনও ভাবেই তাদের বাধা দান করা যাবে না। এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি ইন্দ্র প্রসন্ন মুখোপাধ্যায়। সম্প্রতি জিডি বিড়লা স্কুল নোটিস দিয়ে জানিয়ে দেয় যে, যাদের ফি বাকি আছে তাদের স্কুলে প্রবেশ নিষেধ। সেই ইস্যুর প্রেক্ষিতেই আজ এমন নির্দেশ বিচারপতির।

এদিন বিচারপতি স্পষ্ট জানান, জিডি বিড়লা ও অন্য স্কুল গুলিকে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস করতে দিতে হবে। ফি বকেয়া, আইনশৃঙ্খলা ও অন্য ইস্যু দেখবে জয়েন্ট স্পেশাল অফিসাররা। যে কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছিল তারা আগামী ৬ জুন রিপোর্ট জমা দেবে। আইনশৃঙ্খলার দোহাই দিয়ে স্কুল বন্ধ করা যাবে না বলেই কড়া নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ইন্দ্র প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য ডিভিশন বেঞ্চ। একই সঙ্গে এও জানান হয়েছে, জিডি বিড়লা ও অন্য স্কুলকে নোটিস প্রত্যাহার করতে হবে।

আসলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও পড়ুয়াদের নিরাপত্তার কারণ দর্শিয়ে আচমকা বন্ধ করে দেওয়া হয় জিডি বিড়লা স্কুলের গেট। নোটিস জারি করে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল বন্ধের কথা ঘোষণা করা হয়। স্কুলের এই হটকারী সিদ্ধান্তে সঙ্কটে পড়েন পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা। স্কুলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন  তাঁরা। একই সঙ্গে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন চিহ্ন ওঠে৷ বেশকিছু পড়ুয়ার ফি বকেয়া থাকার দরুন তাদের ক্লাসে ঢুকতে বাধা দেয় ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ। এও অভিযোগ উঠেছে যে, তাদের ক্লাস করতেই দেওয়া হয়নি। এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই স্কুলের গেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকদের একাংশ। সেই প্রেক্ষিতেই স্কুলের গেটে স্কুল বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়েছিল জিডি বিড়লা।