করোনার জন্য কোর্স শেষ করার সময় কম। তাই চলতি বছরের জন্য নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর প্রায় ১৯০টি বিষয়ের সিলেবাস ৩০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে সিবিএসই। একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে নাগরিকত্ব, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার মতো গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে সমালোচনার শূলে চড়িয়েছে বিরোধীরা।
ফুঁসে উঠেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ট্যুইটারে তোপ দেগে জানিয়েছেন, ‘কোভিড সঙ্কটে সিবিএসই কোর্স কমানোর নামে নাগরিকত্ব, যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা, ধর্মনিরপেক্ষতা, দেশভাগের মতো বিষয় বাদ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। একথা জানতে পেরে আমি স্তম্ভিত। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। মানবসম্পদ মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, কোনওভাবেই যেন উল্লিখিত বিষয়গুলি বাদ না দেওয়া হয়।’
এছাড়া বিজনেস স্টাডিজে একাদশ শ্রেণী থেকে বাদ গিয়েছে জিএসটি, দ্বাদশে নোট বাতিল। দু’টি বিষয় নিয়েই মোদি সরকার রাজনৈতিক মহলে প্রবল সমালোচিত। সেই অস্বস্তি এড়াতেই কি ‘কৌশলে’ জিএসটি এবং নোট বাতিল ইস্যু বাদ দেওয়া হয়েছে? এছাড়া দ্বাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান থেকে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল, মায়ানমার এবং শ্রীলঙ্কার মতো প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অংশটিও বাদ পড়েছে। এই দেশগুলির সঙ্গে ইদানীং মোদি সরকারের সম্পর্ক খারাপ।
যদিও বিষয়টি নিয়ে অহেতুক ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে বলেই জানিয়েছেন বোর্ড সচিব অনুরাগ ত্রিপাঠি। তাঁর কথায়,‘যেসব বিষয় সরানো হয়েছে, সেগুলি যে ছাত্রছাত্রীরা আগের ক্লাসে পড়েনি, তা নয়। ভবিষ্যতেও পড়বে। সিলেবাসে থাকবে। এবার যেহেতু কোর্স শেষ করা সময় কম, তাই সেগুলি থেকে পরীক্ষায় প্রশ্ন আসবে না।’ বোর্ডের মুখপাত্র রমা শর্মা জানান, ‘কোনও স্কুল বিষয়গুলি পড়াতে পারবে না, এমন কিছু বোর্ড বলেনি।’