সমাধানের লক্ষ্যে তৎপরতার সঙ্গে গ্লেনমার্ক

যখন কোনও বড় আকারের অতিমারীর (প্যান্ডেমিক) প্রাদুর্ভাব হয়, তখন তৎপরতার সঙ্গে চিকিৎসা করাই একমাত্র উপায়। যে সময়ে বেশিরভাগ দেশ দ্রুত কোভিড-১৯’এর চিকিৎসা আমদানির সন্ধান করছিল, সেইসময়ে গ্লেনমার্ক এর সমাধানের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছিল, যার উদ্দেশ্য ছিল হেলথকেয়ার প্রফেশনালদের এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করা এবং একইসঙ্গে হেলথকেয়ার সেক্টরের চাপ হ্রাস করা ও রোগীদের দ্রুত আরোগ্যের পথে নিয়ে যাওয়া ও জীবন রক্ষা করা।

প্রথম কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঘটনা গোচরে আসার পর বিগত ৫ মাস ধরে গ্লেনমার্ক তার টিম সংগঠিত করেছে ও উন্নয়ণ প্রক্রিয়া আরম্ভ করেছে নভি মুম্বইয়ে তার রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট (আর-অ্যান্ড-ডি) ফ্যাসিলিটিতে। অ্যাংকলেশ্বর (গুজরাত)-এ অ্যাক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) প্রস্তুতের ও বাড়দি (হিমাচল প্রদেশ)-এ ফর্মুলেশনস তৈরির সমগ্র আর-অ্যান্ড-ডি প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়েছে ইন-হাউসে এবং তা ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র অঙ্গ হিসেবে এক উল্লেখযোগ্য সাফল্য। 

ফেবিফ্লু (FabiFlu®) প্রস্তুতের সামগ্রিক প্রক্রিয়ায় উল্লেখযোগ্যভাবে বিনিয়োগ করা হলেও, গ্লেনমার্ক ফেবিফ্লু’র  মূল্য আর্থিক সাশ্রয়ী রেখেছে, অন্যান্য দেশে এর মূল্যের তুলনায়। ভারতে ফেবিফ্লু’র মূল্য ট্যাবলেট প্রতি ১০৩ টাকা, যখন ভারতীয় মুদ্রায় তার মূল্য অন্য দেশে বেশি। (রাশিয়ায় এর মূল্য ট্যাবলেট প্রতি ৬০০ টাকা, জাপানে ৩৭৮ টাকা, বাংলাদেশে ৩৫০ টাকা ও চিনে ২১৫ টাকা)।

রেমডেসিভির ড্রাগের একটি ভায়াল বেশ কয়েকটি কোভিড-১৯ কেসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হলে তার মূল্য হবে ৫০০০ টাকা থেকে ৬০০০ টাকার মধ্যে।

মাইল্ড থেকে মডারেট কোভিড-১৯ কেসে ফেবিফ্লু ব্যবহার হলে চিকিৎসার মোট ব্যয় হবে প্রায় ৭০০০ টাকা। কোভিড-১৯’এর চরম ক্ষেত্রে রেমডেসিভির ব্যবহারে এই চিকিৎসা-ব্যয় হবে প্রায় ৩০,০০০ টাকা থেকে ৩৫,০০০ টাকা।

দ্রষ্টব্য: ভারতীয় মুদ্রায় ফেবিপিরাভির ২০০মিগ্রা’র হিসেবে, ট্রেড ডেটা অনুসারে।