শীঘ্রই নিয়োগের পথে পূর্তদপ্তর ,৪০০ নতুন পদ

গত ১০ বছরে রাস্তা, কালভার্ট, সেতু-উড়ালপুলের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে যথেষ্ট। সব মিলিয়ে ব্যাপক কাজের চাপ। আর তা সামলাতে এবার ইঞ্জিনিয়ার ও টেকনিক্যাল স্টাফ নিয়োগের জন্য ৪০০টি নতুন পদ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নিল পূর্তদপ্তর। শীঘ্রই সেই পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। গত বছর গোটা দপ্তরটি ঢেলে সাজার কাজ চালু করেছে রাজ্য সরকার। নতুন দু’টি জোন তৈরির সিদ্ধান্তও হয়েছে। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এই নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ওই ৪০০টি পদের মধ্যে রয়েছে চারজন চিফ ইঞ্জিনিয়ার (যার মধ্যে একজন ব্রিজ মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকবেন), ২৬ জন সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার, ৬০ জন এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, ১৪০ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার এবং ১৭০ জন সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার। তবে, নিয়োগ করা হবে মূলত অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদেই। কারণ, নিয়ম অনুযায়ী বাকি তিনটি ক্ষেত্র পদোন্নতির ভিত্তিতেই পূরণ করা হয়। যত দ্রুত সম্ভব সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে বলেও খবর। পাশাপাশি, গ্যাং মজদুর, রোড মজদুর, রোড মেটসের মতো গুরুত্বহীন প্রায় ২,১০০ পদের অবলুপ্তিও ঘটাতে চলেছে পূর্তদপ্তর। বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তি চলে আসায় পদগুলির কাজ প্রায় নেই বললেই চলে। এই পদে কর্মরতদের দপ্তরের অন্য বিভাগে পুনর্বহাল করা হবে।
মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের পরেই পূর্তদপ্তরের কাজ নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাজের গতি বাড়াতে তখনই দপ্তর পুনর্গঠনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বর্তমানে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের দপ্তরের অধীনে রয়েছে রাজ্যের ২০ হাজার কিলোমিটার রাস্তা। এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ৬ হাজার কিলোমিটার রাস্তা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দপ্তরের হাতে এসেছে। রয়েছে ২ হাজার ব্রিজ ও উড়ালপুল। সেগুলির স্বাস্থ্যপরীক্ষার কাজও চলছে। সেচদপ্তরের অধীনে থাকা সেতুগুলিও পূর্তের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে কাজ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। যার জেরে গত ২৫ নভেম্বর রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে পূর্তদপ্তর পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। দপ্তরের অধীনে থাকা জোনের সংখ্যাও বাড়িয়ে পাঁচটি করার সিদ্ধান্ত হয়। বর্তমানে জলপাইগুড়ি, দুর্গাপুর এবং কলকাতা —এই তিনটি জোনে কাজ করেন পূর্ত আধিকারিকরা। তা ভেঙে নতুন দুটি জোন হবে মালদা ও মেদিনীপুর। পাশাপাশি সেতু ও উড়ালপুল দেখভালের জন্য একজন নতুন চিফ ইঞ্জিনিয়ার (ব্রিজ মনিটরিং) পদ সৃষ্টি করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। কয়েকটি জায়গায় নতুন অফিস তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে সরকারি ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ রয়েছে।