নির্ধারিত সময়ের পূর্বে জন্ম নেওয়া শিশুদের সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ‘হু’ থেকে পাওয়া এক হিসেবে জানা যায়, আনুমানিক ১৫ মিলিয়ন শিশু জন্ম নিচ্ছে নির্ধারিত সময়ের আগেই। এবিষয়ে ফর্টিস হসপিটাল আনন্দপুর-এর কনসাল্টেন্ট পেডিয়াট্রিসিয়ান ও এনআইসিইউ ইন-চার্জ ডা. সুমিতা সাহা জানান, ৩৭ সপ্তাহের আগে জন্মগ্রহণ করা শিশুদেরই প্রিম্যাচিওর বলা হয়। স্বাভাবিক জন্মসময় হল ৪০ সপ্তাহ। তবে ৩২ থেকে ৩৭ সপ্তাহে জন্ম নেওয়া শিশুদের সাধারনত বেশি সাপোর্টের প্রয়োজন হয়না। ৩২ সপ্তাহের আগে জন্ম নেওয়াদের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ইন্টেন্সিভ কেয়ার সাপোর্টের প্রয়োজন হয়। কিন্তু ২৪ সপ্তাহের পর জন্মালেও সেইসব শিশুদের বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল, যদি প্রথম কয়েকটি সপ্তাহ সে নিওন্যাটাল ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে (এনআইসিইউ) থাকে।
প্রিম্যাচিওর বার্থ কেন বৃদ্ধি পাচ্ছে? এপ্রসঙ্গে ডা. সাহা কয়েকটি বিষয় জানিয়েছেন, যেমন আর্টিফিসিয়াল ইনসেমিনেশনের সংখ্যাবৃদ্ধি, অনিয়ন্ত্রিত স্ট্রেস লেভেল ও লাইফস্টাইল-রিলেটেড ফ্যাক্টর। এব্যাপারে ডা. সাহা কিছু ইতিবাচক পালনীয় দিকনির্দেশও দিয়েছেন মায়েদের প্রতি।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, প্রিম্যাচিওর বেবি অন্যান্য শিশুদের মতই বেড়ে ওঠে ও স্বাভাবিক জীবনে পৌঁছায়। ডা. সাহার মতে, কিছুসংখ্যক শিশুর বিকাশের জন্য সাপোর্টের দরকার হয়। তাদের কিরকম সাপোর্ট প্রয়োজন তা দ্রুত নির্ধারণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ তাহলে সে বিকাশের পথে দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে। কখনও কখনও তাদের কিছু স্টিমুলেশনেরও প্রয়োজন হয়, তাদের মস্তিষ্কের দ্রুততর সুস্থ গঠনের জন্য। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, যেসব শিশুদের প্রাথমিক পর্যায়ে এনআইসিইউ-তে থাকা অবস্থায় খুব একটা ‘ইন্টারভেনশন’ প্রয়োজন হয়না, তারা ‘ফুল টার্ম’ শিশুদের মতই বেড়ে ওঠে এবং ৩ বছর বয়স নাগাদ তাদের সঙ্গে অন্য শিশুদের তেমনভাবে পৃথক করা যায়না বলে জানালেন ডা. সুমিতা সাহা।