শিক্ষানীতি নিয়ে দ্বন্দ্ব দুই সরকারের মাঝে

এই মুহূর্তে শিক্ষানীতি নিয়ে বারংবার দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের মাঝে। এরই মাঝে হলো বাংলার শিক্ষা পদ্ধতিতে হিন্দি ঢোকাচ্ছে কেন্দ্র। এই বিষয়ের বিরোধীতা করে নিজস্ব শিক্ষানীতী চালু করার ঘোষণা করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের বক্তব্য, জাতীয় শিক্ষানীতি (NEP)-তে স্থানীয় ভাষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। বাংলার সরকার কি অন্যভাবে দেখে? এই সরকার কি তার কর্মসংস্থান বাড়াতে চায় না? নতুন শিক্ষানীতি জ্ঞান-ভিত্তিক ও কর্মসংস্থানের জন্য আদর্শ বলেও দাবি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর৷ এর বিরোধিতা করায় তিনি বিশ্ময় প্রকাশ করেন।

ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, “জাতীয় শিক্ষানীতি একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি৷ পশ্চিমবঙ্গ সরকার কি সেই নীতির বিরোধিতা করছে? তারা কি কে কস্তুরিরঙ্গনের মতো একজন বিজ্ঞানীর দ্বারা পরিচালিত কমিটির বিরোধিতা করছে? নাকি অন্য কারণও আছে ?” শিক্ষামন্ত্রী আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, রাজ্য সরকার চাইলে শিক্ষানীতিতে নিজের মতামত দিতে পারে। এটা তাদের ‘মৌলিক নথি’ হিসেবে বিবেচিত হবে। এর মধ্যে রাজনৈতিক কারণ যেন না দেখা হয়।

পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সম্প্রতি বলেছেন, তৃণমূল সরকার কখনই জাতীয় শিক্ষানীতি চাপিয়ে দেওয়াকে মেনে নেবে না৷ কারণ রাজ্যের নিজস্ব সংস্কৃতি এবং শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। এই প্রসঙ্গে, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষার্থীদের চাহিদা এবং আগ্রহের সাথে উপযোগী একটি শিক্ষানীতির জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি ১০ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। মূলত, পশ্চিমবঙ্গের এই ভূমিকাকে কার্যত কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামনন্ত্রী৷