লকডাউনের জেরে পেশা বদলে বাধ্য হচ্ছেন ছোট ব্যবসায়ীরা

কেউ পান দোকান, কসমেটিক দোকান কেউ মুনিহারী দোকান, ব্যাগের দোকান, টেলার দোকান করছিলেন’। কিন্তু কয়েক দশক ধরে জড়িয়ে থাকা এ সব পেশার মানুষগুলিকে এক ধাক্কায় বদলে দিয়েছে ‘লকডাউন’। লকডাউনে একের পর এক পেশা বদলাচ্ছে চোপড়ার মানুষ। একসময় টেলারের দোকান চালিয়ে জীবন কাটানো নন্দিগছের বাসিন্দা আজিত আলম, বর্তমানে মাস্ক বিক্রেতা। আজিত আলম জানান, খুব একটা বিক্রি নেই তবে যা হচ্ছে তাতে সংসার কোনোমতে চলে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে টিকে থাকার লড়াইটাই বড় হয়ে উঠেছে। আর ওই টিকে থাকার জন্যই ওঁদের কেউ ‘মাস্ক’ বিক্রি করছেন, কেউ বা সেনিটাইজার। লকডাউন ঘোষণা হতেই দোকান বাজার খোলা রাখার সময় ঘোষণা হয়েছে সকাল ৭ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত। তবে বেশ কিছু দোকান খোলার নিয়ম এর মধ্যে বাদ পরেছে। তাই চরম সমস্যায় পড়েছে পান দোকান, ব্যাগের দোকান, টেলার দোকান, কসমেটিক দোকান, মুনিহারী দোকান ইত্যাদি। এমতাবস্থায় কোনো আয়ের দিশা না পেয়ে কিছু রোজগারের জন্য অনেক দোকানদার বেছে নিয়েছেন মাস্ক ও সেনিটাইজার বিক্রি করা। জুমার উদ্দিন সদাগর সহ কয়েকজন পান দোকানদার জানান তাদের সংসার চলছিল পান দোকান করে। কিন্তু লকডাউন এর কারণে ওই দোকান আর চলছে না। তাই তারা সকাল থেকে তাদের বন্ধ দোকানের সামনে দড়িতে ঝুলিয়ে রাখছেন কিছু রকমারি মাস্ক, আর ছোট্ট একটি টুল এর উপরে কিছু সেনিটাইজার। এখন তাদের রোজগারের একমাত্র ভরসা মাস্ক ও সেনিটাইজার বিক্রি করা। কিন্তু এতে তেমন আয় হয় না। এই সামান্য আয় দিয়ে কিভাবে চলবে তাদের সংসার এই চিন্তায় জুমার উদ্দিন সহ বহু পান দোকান ও কসমেটিক মনোহারি দোকানদার।