আবারও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এলো। এবার রাস্তা তৈরির কমিশন খাওয়া নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাধে মালদহের হরিশচন্দ্রপুর এলাকায়। ঘটনার পর গোতা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এমনকি দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গুলি চলারও খবর পাওয়া যাচ্ছে। যদিও পুলিশ গুলি চালানোর ঘটনা স্বীকার করেনি। নতুন রাস্তার কমিশন খাওয়া নিয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির সাথে জেলাপরিষদের কর্মাধ্যক্ষর তুমুল দ্বন্দ্ব বাধে। সংঘর্ষে পঞ্চায়ের সমিতির সভাপতি জুবেদা বিবির গাড়ি ভাঙচুর করে তৃণমূলের আরেক পক্ষ।
রাস্তা নির্মাণের কাজের জন্য হরিশ্চন্দ্রপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জুবেদা বিবিকে রাস্তায় আটকে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষ মমতাজ বেগমের স্বামী আমিনুল হকের অনুগামীরা। শুধু বিক্ষোভই না, জুবেদা বিবির উপর আক্রমণও করে তাঁরা। এমনকি ওনার গাড়ি ভেঙেচুরে দেওয়া হয়। এরপর প্রাণ বাঁচাতে জুবেদা বিবি একটি বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে বের করে ওনার উপর হামলা করে আমিনুল হকের দল। আহত অবস্থায় জুবেদা বিবিকে হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, সাত কিমি রাস্তা সংস্কারের জন্য আট কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। যেই ঠিকাদার এই কাজের দায়িত্ব নিয়েছে, তাঁর শ্রমিকদের জন্য এলাকার থাকার ব্যবস্থা করতে গেছিলেন আমিনুল হোক। আর ঠিক সেই সময়ে ব্লক অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন জুবেদা বিবি। অভিযোগ, রাস্তায় জুবেদা বিবির গাড়ি আটক করে গুলি চালানো হয়। প্রাণ বাঁচাতে জুবেদা বিবি একটি বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। কিন্তু সেখানেও পৌঁছে যায় আমিনুলের অনুগামীরা। আর সেই বাড়ি থেকে জুবেদা বিবিকে টেনে হিঁচড়ে বের করে বেধরক মারধর করা হয়।
আরেকদিকে আমিনুল নিজের ঘার থেকে সমস্ত দোষ ঝেড়ে দিয়ে বলেন, জুবেদা বিবির স্বামী ওই রাস্তা তৈরির কাজের জন্য কমিশন চেয়েছিল। আমরা সেটা দিতে রাজি না থাকায়, আমাদের একটি ক্লাবে আটকে মারধর করে জুবেদার স্বামীর দলবল। এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে আমি পুলিশে অভিযোগ জানাই। আর সবার নজর এই ঘটনা থেকে ঘোরাতে নিজেই জুবেদা বিবির গাড়ি ভাঙচুর করে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে।