পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যে সংক্রমণ মুক্ত কমবেশী ১৭ হাজার মানুষ। কিন্তু স্বেচ্ছায় প্লাজমা দিতে এগিয়ে এসেছেন মাত্র ১৫ জন। ফলে সংক্রমিতদের দেহে প্লাজমা থেরাপির উদ্যোগ বাধাপ্রাপ্ত। জানা গিয়েছে, এযাবৎকাল যাঁরা প্লাজমা দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ স্বাস্থ্যকর্মী। কিন্তু সেই দান অপ্রতুল। যদিও প্লাজমা ব্যাংক ঘিরে আশার আলো দেখছেন গবেষক-চিকিৎসকরা। মেডিক্যাল কলেজেই রাজ্য সরকার তৈরি করেছে প্লাজমা ব্যাঙ্ক। এই বিভাগ সিএসআইআর এবং আইআইসিবি’র সঙ্গে যার ভাবে প্লাজমা ট্রায়াল চালাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৪০ জন রোগীর দেহে এই ট্রায়াল চলেছে। অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে এমনটাই দাবি।
প্লাজমা থেরাপি প্রসঙ্গে গবেষক-চিকিৎসক দ্বৈপায়ন গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, “আমরা মোট সুস্থ রোগীর মধ্যে ২০%-এর সম্মতি পেয়েছি। ওদের আশঙ্কার কারণ আবার সংক্রমণ। আসলে একবার সংক্রমিত অবস্থার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। সেই অবস্থা যাতে ফিরে না আসে সেটা নিশ্চিত করতে চান তাঁরা। আমি বলতে পারি প্লাজমা দানে ফের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।” অপর এক প্লাজমা দাতা অমৃতা পাণ্ডা বলেছেন, “আমি প্লাজমা দান করেছি, কারণ এটা আমার সামাজিক দায়িত্ব।”
গত সপ্তাহেই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্লাজমা ব্যাঙ্কের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।