রাজ্যের বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণের সংখ্যার সাথে বেড়েছে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যাও

সমাপ্তি হয়েছে উৎসবের, কিন্তু এবার বাড়ছে চিন্তা ঊর্দ্ধমুখী রাজ্যের করোনা সংক্রমণের সংখ্যা নিয়ে। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর৷ নাইট কারফিউর উপর বেশি করে জোড় দেওয়া হচ্ছে৷ স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুসারে কলকাতা তো বটেই সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে হাওড়া, হুগলী, দুই ২৪ পরগণা, নদিয়া, উত্তর দিনাজপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর  পশ্চিম বর্ধমান এবং দার্জিলিংয়ে।

করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দক্ষিণ ২৪ পরগণায় মাইক্রো কনটেনমেন্ট এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে৷ এছাড়াও আলিপুর (সদর), বারুইপুর, ক্যানিং, কাকদ্বীপ ও ডায়মন্ড হারবার মহকুমার ১৩টি থানা এলাকায় মোট ৪২টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্যদফতর ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্রতিটি এলাকায় সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে৷ ফের উর্ধ্বমুখী করোনার গ্রাফ।

এছাড়াও রাজ্যে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় রয়েছে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার দশটি ওয়ার্ডের ১৯টি এলাকা। মহেশতলা পুরসভার ১৪ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের দু’টি, ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ৪ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডের দু’টি এলাকা৷ বিধানসভা এলাকায় মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে ১৩টি৷ দুর্গা পুজো মিটতেই দেখা যায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসত এবং বারাকপুর মহকুমা এলাকায় সংক্রমণের হার উর্ধমুখী৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করে প্রশাসন। 

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা সাড়ে ৪০০-র কাছাকাছি৷তবে কিছুটা কম দৈনিক সংক্রমণ৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৪৩ জনের৷ এক দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ৩০৬৷ দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৫৪ হাজার ৭১২ জনের৷ মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৪১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৭৭৮ জন৷  গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা  ৯৮৯ জন৷