এসএসকেএমে ভর্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর বাঁ পায়ের গোড়ালি ও পায়ের পাতার হাড়ে চিড় ধরেছে। ওই পায়ের পেশিতেও চোট লেগেছে। মুখ্যমন্ত্রীর বাঁ পা ফুলে রয়েছে। গতকাল রাতে এমআরআই-এর পর পায়ে টেম্পোরারি প্লাস্টার করা হয়েছে। শুরু হয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক। পায়ের ফোলা ভাব কমলে আজ প্লাস্টার করা হতে পারে। আঘাত লেগেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডান কাঁধ ও কনুইয়ে। চোট রয়েছে ঘাড়েও। রাতে মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যথা কমানোর ওষুধ দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ইসিজি রিপোর্ট সন্তোষজনক হলেও, বুকে ব্যথা এবং শ্বাসকষ্টের কথা মুখ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের জানিয়েছেন। বুকে ব্যথার কারণ আঘাতজনিত কিনা জানতে সিটি স্ক্যান করা হবে।এছাড়া, আজ আবার করা হবে ইসিজি। করা হতে পারে ইকো-ও। রক্তের একাধিক রুটিন পরীক্ষা করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীকে ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকেরা। আজ আবার মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা তাঁকে পরীক্ষা করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ৯ সদস্যের দল গঠিত হয়েছে। এসএসকেএমের অধ্যক্ষ মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও তিন বিভাগীয় প্রধান ও আরও পাঁচ বিশেষজ্ঞ রয়েছেন মেডিক্যাল বোর্ডে। রাখা হয়েছে অর্থোপেডিক, নিউরো সার্জারি, নিউরো মেডিসিন, জেনারেল সার্জারি, কার্ডিওলজি, এন্ডোক্রিনোলজি, জেনারেল মেডিসিন এবং অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের বিশেষজ্ঞদের।
এছাড়াও তৃণমূল নেত্রীর বাঁ পায়ের গোড়ালির হাড়ে ও পেশীতে বেশ কয়েকটি চোট রয়েছে। পায়ের তলার অংশেও রয়েছে আঘাত। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন পায়ের লিগামেন্ট ও টিস্যুও আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে কালকের ঘটনায়। তবে শুধু পায়ে নয়। ডানদিকের কাঁধে এবং ডান হাতের কবজিতে চোট লেগেছে। বুকে ব্যাথা এবং শ্বাসকষ্টও রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন তাঁর শারীরিক অবস্থা বোঝার জন্য আরও কিছু পরীক্ষা করা হবে। সাধারণত এই ধরনের চোট লাগলে দেড় থেকে দুই মাস সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু এক্ষেত্রে কী পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা তাই দেখার। কারণ শুরু হয়ে গিয়েছে নির্বাচনের প্রচার। আগামী দুমাস রাজনীতির ময়দানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রয়েছে নানা রকমের কর্মসূচি ও প্রচার সভা যেখানে মমতারও উপস্থিত থাকার কথা।