মুক্তি পেলো না রাকেশ

মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল কিন্তু আদতে তা সফল হলো না। বিফলে গেল সব আশা। জেল থেকে বেরনোর আগেই বিজেপি নেতা রাকেশ সিংয়ের জামিন খারিজের আবেদন এনসিবি’র৷ আইনি জটিলতার জেরেই জেল হাজত থেকে মুক্তি পেলেন না বিজেপি নেতা রাকেশ সিং।

বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ রাকেশের জামিন মঞ্জুর করে৷ শর্ত সাপেক্ষে তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়৷ কিন্তু আইনি জটিলতার জেরে জামিন মঞ্জুর হলেও জেলেই আছেন রাকেশ। এ বিষয়ে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার। তিনি জানান, ব্যক্তিগত বন্ডে কত টাকা তা নিয়ে সমস্যার কারণেই জামিন পেয়েও জেলে আছেন রাকেশ। এর পরেই বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন করে নির্দেশ দেন৷ ১ লক্ষ টাকা ব্যক্তিগত ব্যান্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা করে ৪টি সিকিউরিটি বন্ডে জামিন মঞ্জুর করা হয়। কিন্তু তার জেল মুক্তির আগেই মামলা করল এনসিবি৷ 

গত ফেব্রুয়ারি মাসে পূর্ব বর্ধমানের গলসি থেকে গ্রেফতার হন রাকেশ৷ কোকেন কাণ্ডে রাকেশ সিং-এর কলকাতার বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালানোর পরেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি৷ তাঁকে বাড়িতে না পেয়ে রাকেশের দুই ছেলেকে আটক করে পুলিশ৷ এর পর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গলসি থেকে রাকেশকে গ্রেফতার করা হয়৷ রাকেশ সিং-এর দুই ছেলে সাহেব এবং শুভম সিং-কেও লালবাজারে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ৷ রাকেশ সিং-এর পরিবারের অভিযোগ ছিল, জোর করে রাকেশ সিং-এর দুই ছেলেকে তুলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ৷ 

কোকেন কাণ্ডে পামেলা গোস্বামীকে গ্রেফতারের পরেই উঠে আসে রাকেশের নাম৷ পামেলাকে আদালতে তোলার সময় তিনি রাকেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন৷ রাকেশ মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত বলেও অভিযোগ করেন৷ পামেলার অভিযোগের ভিত্তিতেই রাকেশকে ডেকে পাঠানো হয়৷ কিন্তু তিনি হাজিরা না দিয়ে আগাম জামিনের আর্জি জানান৷ পরে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷