আমেরিকার থেকে প্রিডেটর ড্রোন কেনার পরিকল্পনা ভারতের অনেকদিনের। সম্প্রতি পূর্ব লাদাখে চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতের আবহে এই প্রিডেটর ড্রোনের প্রয়োজনীয় পড়েছে ভারতের। সেই সঙ্গেই ইজরায়েলের থেকে ৬টি সশস্ত্র হেরন টিপি ড্রোন কেনার পরিকল্পনাও রয়েছে। ইলেকট্রো-অপটিকাল ও ইনফ্রারেড দুটি ভার্সনই আছে এই ড্রোনের, মাল্টি-মোড রাডার সিস্টেম, ইলেকট্রনিক সাপোর্ট মেজারস সিস্টেম রয়েছে। ২০০৫ সাল থেকেই ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় রয়েছে এই সশস্ত্র ড্রোন।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা এই প্রিডেটর-বি ড্রোনকে বলেন ঘাতক ড্রোন। এই প্রিডেটর ড্রোনকে বলা হয় ‘মিডিয়াম অল্টিটিউড লঙ-এন্ডুর্যান্স’ সশস্ত্র প্রিডেটর-বি ড্রোন। প্রিডেটর-বি ড্রোনকেই বলা হয় এমকিউ-৯ রিপার (MQ-9 Reaper) । চালকবিহীন এই ড্রোন তৈরি করেছে জেনারেল অ্যাটোমিক্স অ্যারোনটিক্যাল সিস্টেম। ৫০০ পাউন্ড ওজনের দুটি লেজার-গাইডেড বোমাও নিক্ষেপ করা যায় প্রিডেটর-বি থেকে।
উঁচু পাহাড়ি এলাকায় নজরদারি চালানো এবং দুর্গম এলাকায় অতর্কিতে শত্রুঘাঁটির উপরে হামলা চালাতে এই ড্রোনের জুরি মেলা ভার। এর উন্নত রাডার ও সেন্সর সিস্টেম অনেক উঁচু থেকেই শত্রুঘাঁটি চিনে নিতে পারে। প্রতিপক্ষ টের পাওয়ার আগেই নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে। রাতেও ক্ষিপ্র গতিতে উড়তে পারে প্রিডেটর-বি। এই ড্রোন থেকে হেল-ফায়ার মিসাইল ছোড়া যায়।
এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন আকারে বড়, ওজনেও ভারী। এতে রয়েছে ৭১২ কিলোওয়াটের টার্বোপ্রপ ইঞ্জিন। নিজের ওজনের থেকে ১৫ গুণ বেশি ওজন বইতে পারে রিপার ড্রোন। গতি ঘণ্টায় ৪১০ কিলোমিটার। প্রায় ১৭৪৬ কিলোগ্রাম ওজনের পে-লোড বইতে পারে প্রিডেটর-বি। ভূমি থেকে ৫০ হাজার ফুট উচ্চতায় টানা ৩০ ঘণ্টা উড়তে পারে এই ঘাতক ড্রোন।
আমেরিকার থেকে প্রিডেটর ড্রোন ছাড়াও ইজরায়েলের থেকে হেরন ড্রোন কেনার পরিকল্পনাও রয়েছে ভারতের। ‘আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকল’ (ইউএভি) হেরন টিপি (Eitan)ড্রোনে অস্ত্র ভরার ব্যবস্থা আছে। দূরপাল্লার এই ড্রোন দিয়ে শত্রু ঘাঁটিতে অনায়াসেই টার্গেট করা যাবে। হেরন টিপি ড্রোনের নির্মাতা সংস্থা ইজরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ।