ভুয়ো ভ্যাকসিন কান্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য

করোনা সংক্রমণ রোধে একমাত্র উপায় টিকাকরণ। এবার সেই টিকাকরণ নিয়েই উত্তাল রাজ্যে। এই মুহূর্তে রাজ্যের সব চেয়ে বড় চাঞ্চল্যকর খবর হল ভুয়ো ভ্যাকসিন কান্ড। এই নিয়ে তোলপাড় কলকাতা সহ রাজ্য। শুরু হয়েছে তদন্ত আর তাতেই উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার কসবার ভুয়ো টিকাকরণ কাণ্ড নিয়ে শুরু হল রাজনৈতিক চাপানউতোর। ভুয়ো আইএএস পরিচয় দিয়ে ভ্যাকসিন ক্যাম্প চালাচ্ছিলেন দেবাঞ্জন দেব। কসবা কাণ্ডে ধৃত ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে কোটি টাকারও বেশি জালিয়াতির অভিযোগ উঠল। ৯০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছিল ভুয়ো টিকাকাণ্ডের নায়ক দেবাঞ্জন। ফ্রিতে টিকাদান করার মতো টাকা সে কোথায় পেয়েছিল, এ নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন উঠছিল।

এবার ফাঁস হল সেই রহস্য। সূত্রের খবর, কমিউনিটি হল তৈরির নামে ট্যাংরার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৯০ লাখ টাকা নিয়েছিল সে। এমনকী কলকাতা পুরসভার জাল নথি পর্যন্ত তৈরি করেছিল সে! অভিযোগ, ভুয়ো টেন্ডার পাশ করিয়ে আত্মসাৎ করেছিল মোটা অঙ্কের ওই টাকা। পুলিশের অনুমান, ওই টাকাই সে ভুয়ো টিকার ফাঁদ পাতার ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছিল।

অন্যদিকে এই দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে ছবিও পাওয়া গিয়েছে অনেক তৃণমূল নেতা–মন্ত্রী–সাংসদের। তাঁদের মধ্যে রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনও একজন। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি তালতলার রাস্তায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি ফলক উদ্বোধন হয়। সেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তির নীচে ফলকে টিকা কেলেঙ্কারিতে ধৃত দেবাঞ্জন দেবের পাশাপাশি নাম ছিল একাধিক পুর সদস্য, বিধায়ক, সাংসদের। তার নামের পাশে লেখা রয়েছে যুগ্ম সচিব, পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তা নিয়ে অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড সামনে আসার পর চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে এই ফলক।  

করিতকর্মা এই যুবক নবান্নের প্যাড জাল করেও প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক দফতরের নামে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল দেবাঞ্জন। নিজের নিরাপত্তার জন্য অবসরপ্রাপ্ত বিএসএফ অফিসারকে নিয়োগ করে সে। নবান্নের প্যাড জাল করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় সে। তাঁর সেই বিজ্ঞপ্তির ফাঁদে পড়ে প্রতারিত হয়েছেন ওই অবসরপ্রাপ্ত অফিসার তথা জাতীয় স্তরের প্রাক্তন সাঁতারু।