ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে স্বস্তি পেল রাজ্য

সব জল্পনার মাঝেই স্বস্তি পেল রাজ্য। অবশেষে রাজ্যের তরফেই এলো কলকাতা হাইকোর্টের রায়। স্বস্তি পেল রাজ্য সরকার। ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআইকে দিয়ে এখনই তদন্তের প্রয়োজন নেই, বলে মনে করছে কলকাতা হাইকোর্ট। আপাতত রাজ্যের তদন্তের উপরেই ভরসা রেখেছেন কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্য পুলিশের তদন্ত আস্থা রাখল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আজ ভ্যাকসিন জালিয়াতি নিয়ে করা জনস্বার্থ মামলায় রাজ্যের বিশেষ তদন্তকারি সংস্থা বা SIT তদন্তেই আস্থা রাখলেন বিচারপতি ইন্দ্র প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচাপতি অনিরুদ্ধ রায়। 

এই সংক্রান্ত তিনটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের আবেদন খারিজ করে মামলার নিষ্পত্তি করলেন বিচারপতিরা। জানিয়ে দিলেন, পরে প্রয়োজন মনে করলে দেখা যাবে। এই মুহূর্তে রাজ্যের তদন্তে হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। এককথায়, রাজ্য যে ভাবে তদন্ত করছে সেই প্রক্রিয়ায় আস্থা রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। অন্যদিকে জানা গেছে, ভুয়ো টিকাকাণ্ডে শীঘ্রই দ্রুত চার্জশিট পেশ করা হবে। কয়েকটি রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। সেই রিপোর্ট হাতে পেলেই চার্জশিট পেশ করবে কলকাতা পুলিশ।

ঘটনার সূত্রপাত গত মাসের শেষদিকে। কসবায় করোনা টিকা শিবিরের আয়োজন করে দেবাঞ্জন দাস নামে এক ব্যক্তি। তিনি নিজেকে IAS অফিসার বলে পরিচয় দিয়ে এতকাল কাজ করে আসছিলেন। এই শিবির থেকে ভ্যাকসিন নেন অভিনেত্রী-সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। তার ঠিক একদিনের মধ্যেই সমস্ত প্রতারণা ধরা পড়ে দেবাঞ্জনের। পুলিশ তাকে ‘ভুয়ো’ পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে জানতে পারে, তার আয়োজিত শিবির থেকে দেওয়া ভ্যাকসিনও ভুয়ো। এরপর প্রতারণার জাল অনেক দূর গড়ায়। ইতিমধ্যে দেবাঞ্জন ছাড়া আরও চারজন গ্রেপ্তার হয়। দেবাঞ্জনের সঙ্গে শাসকঘনিষ্ঠ নেতাদের ছবি ঘিরে আরও বিতর্ক তৈরি হয়।