বেকার যুবকদের মুখে হাসি ফোটালেন ডেপুটি পুলিশ অফিসার চন্দন দাস

বেকার সমস্যায় ভুগতে থাকা শিক্ষিত ছেলেদের মক টেস্ট এবং কাউন্সেলিংএ তৈরি করে তাদের সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিলেন কোচবিহার জেলার ডেপুটি পুলিশ অফিসার চন্দন দাস। জানা গেছে জেলার প্রান্তিক, প্রত্যন্ত এলাকার হতদরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা ছেলেরা পুলিশের কনস্টেবল পদে আবেদন করেন। লিখিত এবং মাঠের পরীক্ষায় পাশ করার পর ফাইনাল ভাইভা দেওয়ার আগে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলার মতো অবস্থায় নিজেই তাদের কাউন্সেলিং এবং মকটেস্ট নিয়ে তৈরি করেন চন্দন দাস।এই সমস্ত হতদরিদ্র যুবকদের সুনিশ্চিত ভবিষ্যত এবং তাদের পরিবারের মুখে হাসি ফোঁটালেন কোচবিহার জেলার ডেপুটি পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) চন্দন দাস। শুক্রবার কোচবিহার জেলা ট্রাফিক দপ্তরে এই মহানুভব মানুষটিকে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসেছিলেন এই সমস্ত হবু পুলিশ কনস্টেবলরা । ইন্টারভিউয়ের জন্য তাদেরকে পরিণত করে তুলতে দ্বিধাহীন ভাবে প্রশিক্ষণ দিতে থাকেন তিনি। এরপর খুব ভালোভাবেই ইন্টারভিউ দেন এই সকল চাকরিপ্রার্থীরা । অবশেষে এদের মধ্যে প্রায় ৫৫জন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগপত্র পান।

এরজন্য ডেপুটি পুলিশ সুপার চন্দন দাসকে নিজেদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে এদিন ছুটে আসেন এই যুবকরা সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিক এর প্রতি নিজেদের কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি তারা ।যুবকদের এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত চন্দন দাস। তিনি বলেন, এই সাফল্য তার নয়, এই সাফল্য সংশ্লিষ্ট এই যুবকদের, যারা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন তার নির্দেশ। নিজের জীবনের এটি একটি বড় মাইলস্টোন বলে এদিন অভিহিত করেন কোচবিহার জেলা ডেপুটি পুলিশ সুপার চন্দন দাস ।