বিধানগর পুর এলাকায় বেআইনি নির্মাণ অবিলম্বে বন্ধ না করলে দুর্নীতি দমন আইনে কমিশনারকেই অভিযুক্ত করা হবে জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি বিধাননগর পুরসভার ৩৫ ও ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের সমস্ত বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ আদালতের। ঐ দুই ওয়ার্ডে আপাতত কোনো নির্মাণ করা চলবে না। নির্মাণ করতে গেলে কমিশনারের নেতৃত্বে গঠিত টাস্ক ফোর্সের মাধ্যমে পুরো বিষয়টি প্রথমে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিধাননগরের নওভাগা, শান্তিনগর ও নবপল্লী এলাকায় জমি মাফিয়াদের আতুরঘর হয়ে উঠেছে। মোট ১১টি প্লটে বেআইনি নির্মাণ করা হচ্ছে। এর পেছনে পুরসভা ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের লোকজন যুক্ত রয়েছে। এই দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন সুমন দাস নামে এক ব্যক্তি। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বিধাননগর মিউনিসিপ্যাল কমিশনার এবং নগরোন্নয়ন দপ্তরের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল আদালত।
এদিন মামলার শুনানিতে মামলাকারীর তরফে আইনজীবী বিল্লদল ভট্টাচার্য বলেন, ‘সরকারি জমি দখল করে বেয়াইনি নির্মাণ করা হয়েছে। এর পিছনে কমিশনারের হাত রয়েছে। পুনর্বাসনের নাম করে জমি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য চলছে রমরমিয়ে।’ কিন্তু কমিশনারের তরফে দেবব্রত সাহা রায় বলেন, ‘বিধাননগররের ঐ এলাকায় কিছু দরিদ্র মানুষকে পুনর্বাসন দেওয়ার জন্য পুরসভা পুনর্বাসন পার্ক তৈরি করে প্লট দেওয়া হয়েছে। সেখানে কিছু বিল্ডিংয়ের প্ল্যান ছিল না বলে ভেঙে দেওয়া হয়েছে।’
তখন প্রধান বিচারপতি ক্রুদ্ধ হয়ে প্রশ্ন করেন বেয়াইনি নির্মানের ব্যাপারে কমিশনার কি পদক্ষেপ নিয়েছে? অবিলম্বে সমস্ত বেআইনি নির্মাণ বন্ধ না করলে দুর্নীতি দমন আইনে কমিশনারকেই অভিযুক্ত করা হবে। পাশাপাশি তিনি নির্দেশ দেন কমিশনার এবং নগরোন্নয়ন দপ্তর আলাদা আলাদা করে টাস্ক ফোর্স গঠন করে পুরো বিষয় খতিয়ে দেখবে। জুন মাসে ফের শুনানি এই মামলার।