বৃষ্টির জলে খলসি ঘাটের বাঁশের সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় শেরপুর অঞ্চলের সঙ্গে শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল। জেলা পরিষদের তরফ থেকে জানানো হয় অর্থের অভাবে পাঁকা সেঁতু নির্মান করা যাচ্ছে না। বর্ষার পর সেতু নির্মানের কাজ করা হতে পারে। আপাতত ওই এলাকার মানুষকে কষ্ট করেই শহরে আসতে হবে জানিয়েছেন জেলা পরিষদের সদস্য পূর্নেন্দু দে।
উত্তর দিনাজপুর জেলা সদর রায়গঞ্জ। রায়গঞ্জ ব্লক থেকে শেরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দূরত্ব মাত্র ১০ / ১৫ কিলোমিটার। এই এলাকার অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজ নইলে শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালান। এই এলাকার মানুষকে কুলিক নদী পাড় করে শহরে আসতে হয়। নদীর উপর কোনো পাঁকা সেতু না থাকায় গ্রামের মানুষ বাঁশের সাঁকো তৈরী করেই যাতায়াত করতেন। এই সেঁতু নির্মানের দাবিতে গত বিধানসভা নির্বাচনে তারা ভোটও বয়কট করেছিলেন। ভোট বয়কটের সিদ্ধান্তে প্রশাসন কিছুটা নড়েচড়ে বসলেও ভোট পেরিয়ে যাবার পরও সেতু নির্মানে আর কোন পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন।
রোদ বৃষ্টির কারনে বাঁশের সাঁকো মঙ্গলবার ভেঙে যায়। ফলে ওই এলাকার মানুষকে প্রান হাতে নদী পার হতে হচ্ছে। শিশু মহিলা এবং বৃদ্ধরা নদীর জল পেরোতে না পারায় তারা আর শহরে আসতে পারছেন না। শেরপুর অঞ্চলের লাইনপাড়া, খোঁকসা, ঘোড়াডাঙ্গি সহ অসংখ্য গ্রামের মানুষ প্রায় গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন। যেখানে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে রায়গঞ্জ শহর, ঘুরপথে শহরে আসতে গেলে ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার রাস্তা পেরোতে হবে। এই বিশাল দূরত্ব অতিক্রম করে এখন কেউ আর শহরে আসছেন না। অবিলম্বে প্রশাসনিকভাবে পাঁকা সেতু নির্মানের সঙ্গে সঙ্গে এলাকার যোগাযোগ ব্যাবস্থা চালু করার জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেছেন। তৃনমূল কংগ্রেস পরিচালিত উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সদস্য পূর্নেন্দু দে জানিয়েছেন, “সেতু নির্মানের জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। সেতু নির্মানের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে।” তার দাবি বর্ষার পর এই সেতু নির্মানের কাজে হাত দেওয়া হবে।