ভোটের আগে পাহাড়ের খেলা জমে উঠল। তিনবছর ধরে পুলিশের ডায়েরিতে “পলাতক এবং “দেশদ্রোহী” বিমল আজ তাঁর সমস্ত মামলা থেকে অব্যাহতি পেল। সূত্রের খবর মোর্চা নেতা বিমল গুরুংয়ের উপর থেকে সমস্ত মামলা পপ্রত্যাহার করা হয়েছে। এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পাহাড় তথা রাজ্যের রাজনীতিতে। বিগত তিনবছর আগে পাহাড়ের রক্তক্ষয়ী আন্দোলন, পুলিশ অফিসার অমিতাভ মালিকের মৃত্যু, প্রচুর সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগ সহ একাধিক মামলায় অভিযুক্ত বিমল আজ বেকসুর খালাস পেল। জানা গেছে বিমলের ওপর থেকে মোট ৭০ টি মামলা তুলে নিল রাজ্য সরকার।
বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হতেই রাজনীতিতে ব্যাপক তোলপাড়। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূলই বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীতা, খুন এবং অস্ত্র সহ একাধিক মামলা দিয়েছিল। আর এখন নিজের স্বার্থেই ফের সেই সব মামলা প্রত্যাহার করতে চাইছে তৃণমূল। রাজ্যের মানুষ তৃণমূলের খেলা বুঝে গিয়েছে। আর আগামী নির্বাচনে তার জবাব দেবে মানুষ।”
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা শিলিগুড়ি পৌরনিগমের প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “মামলা প্রত্যাহার করানোর শর্ততেই বিমল গুরুং তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছে। মোর্চা তো নামে, আসলে দলটা তো তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সেসব মামলা করেছিলেন। যদিও খুন ও দেশদ্রোহিতার মামলা সেভাবে প্রত্যাহার করা যায় না। তৃণমূলকে সমর্থন করলে সেই মামলার পরিনতি একরকম হবে আর বিরোধীদের একরকম হবে তা হতে পারে না। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এবার নিজের ভবিষ্যৎ শেষ করেছেন।” যদিও ওই বিষয়ে সেরকম মন্তব্য করতে চাননি তৃণমূলের উত্তরবঙ্গের কোর কমিটির চেয়ারম্যান তথা পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, “সব মামলা প্রত্যাহার করা যায় না। বিষয়টা আইন বিভাগ দেখছে। আমার কিছু বলার নেই।”