কোচবিহার জেলার সমস্ত বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে গরহাজির থাকলেন মিহির গোস্বামী , উদয়ন গুহ রা। এনিয়ে জল্পনা বাড়ছে কোচবিহারের রাজনৈতিক মহলে। বৃহস্পতিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূল কোচবিহার জেলা দপ্তরে জেলার বিধায়কদের নিয়ে সভা করলেন মন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মন। মূলত আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহার জেলার ৯টি বিধানসভা অাসনেই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের জয়ী করার লক্ষ্যে এই সভা বলে এদিন জানান বিনয় বাবু।
কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র ছাড়া বাকি ৮টি বিধানসভা কেন্দ্রেই গত বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেন তৃণমূল প্রার্থীরা। তবে এদিনের সভায় ৮জন বিধায়ক আমন্ত্রিত থাকলেও, মাথাভাঙার বিধয়ক বিনয় কৃষ্ণ বর্মন সহ নাটাবাড়ি কেন্দ্রের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ,মেখলিগঞ্জের বিধায়ক অর্ঘ্য রায় প্রধান, শীতলকুচির বিধায়ক হিতেন বর্মন, সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া এই ৫জন বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় এর এই সভায় উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি যোগ দেননি এই সভায়।
দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ, কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামী ও তুফানগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক ফজল করিম মিঞা এই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন । যদিও তাদের অনুপস্থিত নিয়ে চেয়ারম্যান বিনয় কৃষ্ণ বর্মন বলেন, এই বৈঠকে জেলার সকল তৃণমূল বিধায়কদেরই উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছিল কিন্তু তুফানগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক ফজল করিম মিঞা শারীরিক অসুস্থ থাকায় উপস্থিত থাকতে পারেননি এবং দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক মিহির গোস্বামী সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও যোগাযোগ করতে পারেননি তারা । তবে জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় গতকাল রাতে তাকে একটি ম্যাসেজ করেন যে তিনি বিশেষ কারণে জলপাইগুড়িতে চলে আসায় বৈঠকে থাকতে পারবেনা।কিন্তু দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ কি কারনে আসেননি সেটা তার জানা নেই বলে এদিন স্পষ্ট জানান তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলার চেয়ারম্যান বিনয় কৃষ্ণ বর্মন