গত ৫ ই ডিসেম্বর, শিলিগুড়ি বাঘাযতীন পার্কে সমাবেশ করেন তৃণমূল কংগ্রেস। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, গৌতম দেবের হাত ধরে, হাজারে হাজারে বুদ্ধিস্ট সম্প্রদায়ের মানুষ বিভিন্ন দল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। এপর্যন্ত বুদ্ধিস্টদের পাশে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি দাঁড়ায়নি। রাজ্য সরকারের এহেন উদ্যোগে, পাহাড় – সমতলের বুদ্ধিস্ট সম্প্রদায়ের মানুষেরা খুশি। এবিষয়ে ডুয়ার্স বুদ্ধিস্ট সেলের সদস্য বিক্রান্ত লামা বলেন, রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার আসার পর থেকেই, পাহাড়বাসীর জন্য নানান উন্নয়নমূলক কাজ করে চলেছে। শুধুমাত্র বুদ্ধিস্টরাই, নানান পরিসেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বুদ্ধিস্ট সেলের কো-অর্ডিনেটর, নিমা ওয়াঙদি শেরপার উদ্যোগে, রাজ্য সরকার বুদ্ধিস্টদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তার সাথে কাঁধে-কাঁধ মিলিয়েই, উন্নয়নমূলক কাজ করে যাবো। সমতলের অপর সদস্য ওয়াঙদি ইয়োলমো বলেন, রাজ্য সরকারের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। এই সংগঠন তৈরির ক্ষেত্রে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি। এছাড়াও তিনি বলেন, দুঃস্থ বুদ্ধিস্টদের পাশে দাঁড়াতে পারবো। পাশাপাশি এহেন উদ্যোগের জন্য শেরপা পশ্চিমবঙ্গ বুদ্ধিস্ট সেলের কো-অর্ডিনেটরকেও ধন্যবাদ জানান তিনি। সংগঠনের অপর সদস্য ইউ এস তামাং বলেন, সমাজে পিছিয়ে পড়া বুদ্ধিস্টদের সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
সংগঠনের উদ্যোক্তা নিমা ওয়াঙদি শেরপার সাথে সবসময়েই রয়েছি। শুধু পিছিয়ে পড়া বুদ্ধিস্টদেরই সহায়তা করা হবে না, দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার না হওয়া গুম্ফাগুলোও পরিদর্শন করা হবে। তার রূপরেখা তৈরি করে, দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থাও করা হবে বুদ্ধিস্ট সেলের পক্ষ থেকে। বুধবার সমতলের বেশ কয়েকটি গুম্ফা পরিদর্শন করেন নিমা ওয়াঙদি শেরপা, রাজ্য উদবাস্তু সেলের চেয়ারম্যান মুকুল বৈরাগ্য সহ বুদ্ধিস্ট সেলের অন্যান্য সদস্যরা। যার মধ্যে বাগডোগরা ভুট্টাবাড়ি এলাকায়, গুম্ফা তৈরির জন্য ফাঁকা জমি রয়েছে। সেখানেও নতুনভাবে গুম্ফা তৈরি করবার আশ্বাস দেন তিনি। এরপর নকশালবাড়ি, পানিঘাটা, দুধিয়ার বেশ কয়েকটি গুম্ফা পরিদর্শন করেন তিনি। এবিষয়ে নিমা ওয়াঙদি শেরপা বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শেরপা বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদ সামলে এসেছি। এবারে বুদ্ধিস্ট সেলের দায়িত্বভার পেয়েছি। পাহাড়, তরাই, ডুয়ার্সের সমস্ত বৌধ ধর্মাবলম্বি মানুষদের একই ছাতার তলায় নিয়ে আসার চেস্টা চালাচ্ছি। গোটা রাজ্যের পিছিয়ে পরা বৌধ ধর্মাবলম্বি মানুষদের পাশে থেকে, উন্নয়ন করে যাওয়াটাই মূল লক্ষ্য। বিধানসভা ভোটেও এর সুফল মিলবে বলেও, আশাবাদী তিনি। ভোটের নিরিখে পিছিয়ে থাকা পাহাড় ও সমতলে, ফের ঘুরে দাড়ানোর চেস্টায় রাজ্য তৃনমূল কংগ্রেস। একদিকে পাহাড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরে, বিমল – রোশনের প্রত্যাবর্তন। অপরদিকে, পাহাড়-তরাই-ডুয়ার্সের বুদ্ধিস্টদের একই ছাতার তলায় নিয়ে আসাটা ভালই সুফল মলবে ভোটবাক্সে। এমনই আশাবাদী রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।