বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে প্রার্থী দিচ্ছে মিম, চিন্তায় তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেল

নির্বাচন কমিশনার জানিয়ে দিয়েছে যে আগামী বিধানসভা নির্বাচন সঠিক সময়ে হবে। সময়মতো নির্বাচন হলে আর চার পাঁচমাস বাকি। রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে বিক্ষুব্ধদের সামাল দেওয়া যখন রীতিমত অসম্ভব হয়ে উঠেছে যেই সময় গোদের ওপর বিষফোঁড়া অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদ-উল-মুসলিমিন অর্থাৎ মিম পার্টি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে ভোট ভাগাভাগির খেলায় রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটের বেশিরভাগটাই যেখানে তৃণমূলের ভোটবাক্সে যেত, সেখানে সেই সংখ্যালঘু ভোটে ভাগ বসাতে ইতিমধ্যে রাজ্যে ঢুকে গেছে আসাউদ্দিন ওয়েইসির মিম পার্টি। সম্প্রতি বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা সীমান্ত সংলগ্ন জেলাগুলোতে যেভাবে প্রভাব বিস্তার করে ভোটে জয়লাভ করেছে তাতে এখন বাংলায় সংখ্যালঘু ভোটকে ধরে রাখাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে মিম এবার বিধানসভা নির্বাচনে জেলায় জেলার প্রার্থী দিচ্ছে বলে এক প্রকার নিশ্চিত। বাংলার যে জেলাগুলিতে সংখ্যালঘু ভোট বেশি সেই জেলাগুলিতে প্রার্থী দিতে ইতিমধ্যে তৈরি হচ্ছে তারা। মালদা, কোচবিহার, কলকাতার কয়েকটি আসন , উত্তরদিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, বহরমপুর সহ একাধিক জেলায় মিমের কার্যকলাপ লক্ষ্য করে তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম ইতিমধ্যে জেলার সমস্ত সংখ্যালঘু নেতাদের জনসংযোগে গুরুত্ব দিতে বলেছেন। এদিকে রাজ্যে মিম প্রার্থী দিলে তৃণমূলের প্রার্থীদের জেতা যে কঠিন হয়ে যাবে তা অনুমান করে রাতের ঘুম উড়ে গেছে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের। তাতে বিজেপির সঙ্গে লড়াইয়ে অনেকটা ধাক্কা খাবে তৃনমূল তেমনটাই জানিয়েছেন রাজনীতিবিদরা।