বিধানসভা নির্বাচনের মুখে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র সহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। কোচবিহার ঘোকসাডাঙ্গা থানা এলাকায় পুন্ডিবাড়ি-ফালাকাটা ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের নিউ চ্যাংরাবান্ধা চেক পোস্ট থেকে এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।সোমবার এই ঘটনা নিয়ে মাথাভাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিদ্ধার্থ দর্জি সাংবাদিক বৈঠক করেন। এছাড়াও ওই সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মাথাভাঙা মহকুমার পুলিশ আধিকারিক সুরোজিৎ মন্ডল, মাথাভাঙ্গা পুলিশের সিআই দেওদূত গজমের, ঘোকসাডাঙ্গা থানার ওসি দেবাশীষ রায়।এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিদ্ধার্থ দর্জি জানান, রবিবার ভোর রাতে পুন্ডিবাড়ি-ফালাকাটা জাতীয় সড়কে একটি লাল রঙের গাড়িতে করে তিনজন দুষ্কৃতকারী ডাকাতির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঘোকসাডাঙ্গা থানার ওসি দেবাশীষ রায়ের নেতৃত্বে নিউ চ্যাংড়াবান্ধা চেকপোস্টে ওই গাড়িটিকে আটক করে তল্লাশি চালায় পুলিশ। পরে সেখান থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং তিনটি গুলি উদ্ধার করা হয়।ধৃতরা হলেন সইফুল হক, বাপ্পা হক এবং জাকির হোসেন। এদের মধ্যে সইফুলের বাড়ি মাথাভাঙায়। বাকি দুজনের বাড়ি বীরপাড়া এলাকায়। গতকাল তাদেরকে আদালতে তোলা হয়েছে। তাদের সঙ্গে কারা কারা যুক্ত রয়েছে এবং কি উদ্দেশ্যে এই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যাতায়াত করছে এই গোটা ঘটনার তদন্ত করবার জন্য ওই দুষ্কৃতীদেরকে চার দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।উল্লেখ্য এর আগেও মাথাভাঙা মহকুমা এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে বেশকিছু আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়ার ঘটনা পুলিশের বড় সাফল্য বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।তবে এত অস্ত্র কোথা থেকে আসছে তা তদন্তের পাশাপাশি আরও যা অস্ত্র বেআইনি ভাবে মজুত করে রাখা হয়েছে, তা নির্বাচনের আগেই উদ্ধার করার দাবি জানাচ্ছে বিভিন্ন মহল। না হলে নির্বাচন রক্তাক্ত হওয়ার আশঙ্কাও করা হচ্ছে।