করোনা আবহে রাজ্যে তুলনামূলকভাবে বেড়ে যাওয়া বাল্যবিবাহ, নারী ও শিশু পাচার, শিশুদের উপর যৌন হেনস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। এর কারণ জানতে প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপারকে তদন্ত করে খতিয়ে দেখে মামলার পরবর্তী শুনানিতে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
পাশাপাশি, রাজ্যের নারী নির্যাতন ও শিশু পাচার সংক্রান্ত অভিযোগ থাকলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। মামলার পরবর্তী শুনানি ২ জুলাই। এদিন রাজ্যের দেওয়া হলফনামায় কিছু বিষয় উল্লেখ করে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তের কাছে আদালত জানতে চায় আদালত। পাশাপাশি, কোচবিহারের একটি বিষয় নিয়ে পুলিশের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে ডিভিশন বেঞ্চ। এছাড়াও কুচবিহারের পার্শ্ববর্তী জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, মালদা, কালিংপংয়ের মতো জেলাগুলিতে নারী পাচারের অবস্থান কি তা জানতে চেয়ে মামলার পরবর্তী শুনানি তে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
অন্যদিকে, জেলা জাস্টিস জুভেনাইল বোর্ডের জেলা ভিত্তিক পরিকাঠামো নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি। কারণ যেখানে শিশুদের বিচারের পরিকাঠামো খুবই দুর্বল। তবে এনিয়ে ডিভিশন বেঞ্চকে রাজ্যের তরফ এডভোকেট জেনারেল আশ্বস্ত করেন খুব শীঘ্রই এ নিয়ে রাজ্য ব্যবস্থা নেবে। মামলার পরবর্তী শুনানিতে এডভোকেট জেনারেল সাথে ভিডিও কনফারেন্সে জেলা শিশু সুরক্ষা কমিটি অনলাইনে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।