বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এম.এড কোর্সের প্রবশিকা পরীক্ষার মেধাতালিকায় ভুল নম্বরের জেরে ফের বিতর্কের মুখে পড়েছে কর্তৃপক্ষ। এবার সেই বিতর্কের জেরে বুধবার তড়িঘড়ি মেধাতালিকা ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নিল বিশ্বভারতী। নোটিসে জানানো হয়েছে, দ্রুতই সংশোধিত মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। বিশ্বভারতীতে অনলাইনে এম.এডের প্রবেশিকা পরীক্ষা হয়েছিল ১০০ নম্বরের। তাতে কেউ পেয়েছেন ১৯৬, কারও প্রাপ্ত নম্বর ১৫১! মঙ্গলবার বিনয় ভবন থেকে প্রকাশিত মেধাতালিকায় এসব নম্বর দেখে চক্ষুচড়কগাছ পরীক্ষার্থীদের।
বিশ্বভারতীর প্রবেশিকা নিয়ে একাধিক গরমিলের অভিযোগ বরাবরের। হাজারও কারচুপির অভিযোগ ওঠে প্রতি বছর। মোটা অঙ্কের বিনিময়ে বাইরের পড়ুয়াদের ভরতি নেওয়ার জন্য বিশ্বভারতীর পডুয়াদেরই উচ্চশিক্ষার সুযোগ দেওয়া হয় না। এম.এডের প্রবেশিকা পরীক্ষার এই নম্বর বিভ্রাটও কি তারই একটি অংশ? শুরু হয়ে গিয়েছে তুমুল শোরগোল। অনেকেই অভিযোগ তুলছেন, কারচুপি করে বেশি নম্বর পাইয়ে দেওয়ার জন্য নম্বরের তালজ্ঞান লোপ পেয়েছে পরীক্ষকদের। এমনিতে এম.এড কোর্সে বিশ্বভারতীর আসন সংখ্যা ৩০-এর কাছাকাছি। সেখানে ৪৩ জনের নামের মেধাতালিকা কেন, সেই প্রশ্নও উঠেছে। পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষামহলেও তুমুল সমালোচনা শুরু হয় এনিয়ে।
সেই বিতর্কের মুখে পড়েই এবার ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে ওই ভুল মেধাতালিকা। নোটিস দিয়ে জানানো হয়েছে, দ্রুত এম.এডের প্রবেশিকা পরীক্ষার নতুন মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে।