পেট্রল-ডিজেলের পর এবার হানাদারি হেঁশেলেও, সিলিন্ডারে সাড়ে ৪ টাকা দামি গ্যাস!

মাস পয়লা থেকে আরও বাড়ছে হেঁশেলের খরচ। কারণ ফের বাড়ছে রান্নার গ্যাসের দাম। পয়লা জুলাই, বুধবার থেকে ভরতুকিহীন গ্যাস সিলিন্ডার (১৪.২ কেজি)-এর দাম বাড়ছে সাড়ে চার টাকা। ফলে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৬২০ টাকা ৫০ পয়সা। বাণিজ্যিক সিলিন্ডার (১৯ কেজি)-এর দাম ৭ টাকা বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১২০০ টাকা ৫০ পয়সা। এই নিয়ে টানা দু’মাস বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম। তবে গ্রাহকরা জুলাইতে সিলিন্ডার কিনলে কত টাকা ভরতুকি হিসাবে পাবেন, তা সরকারি তেল সংস্থাগুলির তরফে এখনও জানানো হয়নি।

ঠিক একমাস আগে একই পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিল দেশবাসী। একত্রিশে মে দেশের সব মেট্রো শহরে রান্নার গ্যাসের দাম একধাক্কায় ৩৭ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছিল তেল সংস্থাগুলি। কলকাতায় গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বেড়েছিল সাড়ে ৩১ টাকা। এবার বৃদ্ধির হার অতটা না হলেও মধ্যবিত্তের ঘাড়ে বাড়তি বোঝা চাপানোর জন্য যথেষ্ট।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বেড়েই চলেছে পেট্রপণ্যের দাম। মঙ্গলবার কলকাতায় ১ লিটার পেট্রলের দাম দাঁড়িয়েছে ৮২ টাকা ১০ পয়সা। ডিজেল লিটারপ্রতি ৭৫ টাকা ৬৪ পয়সা। জ্বালানির খরচে এমনিতেই নাজেহাল মধ্যবিত্ত। দামের ছেঁকায় বাজার থেকে ব্যাগ ভরতি সাক-শবজি, মাস-মাংস-ডিম কেনাও মুশকিল। এবার সেই খাবার আগুনে চাপাতেও গুণতে হবে বাড়তি কড়ি।

দেশের পেট্রপণ্য ক্ষেত্রে আর্থিক সংস্কারে জোর দিচ্ছে মোদী সরকার। সেই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে গ্যাসের দাম বিনিয়ন্ত্রণের পথে হাঁটতে চাইছে কেন্দ্র। গত শুক্রবারই একথা জানান পেট্রলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তাঁর মতে, এর ফলে বিদেশি লগ্নি বাড়বে। যার হাত ধরে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশেই গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হবে।

২০১০ সালের জুন মাসে পেট্রলের দাম সরকারি নিয়ন্ত্রণমুক্ত করে ইউপিএ সরকার। সেই পথ ধরে ২০১৪ সালে এনডিএ ক্ষমতায় আসার পরপরই ডিজেলের দাম বিনিয়ন্ত্রণ করে। যার পরে বিশ্ব বাজারের ওঠা-পড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে তেল সংস্থাগুলি প্রতিদিনের দাম ঠিক করে। দামের এই ওঠাপড়ার উপরে সরকারের কোনও প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ নেই বলেই দাবি করা হয়। সেই পথ ধরে এ বার পালা প্রাকৃতিক গ্যাসের।